লিঙ্গের আকার কি পরিবর্তন করা যায়? আকাঙ্খা-বাস্তবতা-করনীয়।
যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় – “আপনি কি আপনার লিঙ্গ লম্বা করতে চান?” প্রায় সবাই উত্তরে বলবে “অবশ্যই চাই!”
যাই হোক, প্রায় একশত বছরের বেশি সময় ধরে এর জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা অথবা চেষ্টা করেও লিঙ্গের আকার পরিবর্তনে তেমন একটা ভাল ফলাফল/আবিষ্কার আসেলেই হয়নি। তবে এটা সত্যযে – বিভিন্ন খাবার বড়ি, ক্রিম, ব্যায়াম, লকিং মেশিন এবং অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে এখন মানুষ তার লিঙ্গের আকার পরিবর্তনের চেষ্ট করে থাকে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের কোনটিই হয়তো কার্যকর হয়না। বরং এ রকম চেষ্টার ফলে অনেক পুরুষ লিঙ্গত্থান সমস্যা সহ নানবিধ যৌন জটিলতায় পতিত হন।
ডক্টর মাইকেল ও’লেয়ারী (প্রফেস্যার, হাবর্ড মেডিক্যাল স্কুল। ইউরোলজিষ্ট, ব্রিগহাম এন্ড ওমেন্স হসপিটাল ইন বোষ্টন) বলেন, “বিশ্বাস করুন, আমি যদি জানতাম কি করে নিরাপদে এবং সত্যিকারেই লিঙ্গের আকার বড় করা যায় – তাহলে আমি তা প্রেসক্রাইব করে কোটিপতি হয়ে যেতাম। কিন্তু আমি এটা জানিনা – এমনকি এখনো এ রকম কোন পদ্ধতি আবিষ্কার-ই হয়নি!”। এরকম আরো কিছু সত্যি কথা জানুন Link লিঙ্ক থেকে।
কত ছোট কে ছোট বলেবেন?
প্রায় অর্ধেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মনে করেন তাদের পুরষাঙ্গ অনেক ছোট। বিশ্বজুড়ে সাধারনত উত্তেজিত লিঙ্গের গড় আকার ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি। তবে লিঙ্গের আকার ব্যাক্তি এবং অঞ্চলভেদে অনেক পাথ্যর্ক দেখা যায়। আমাদের দেশ তথা দক্ষিন এশিয়ার পুরুষের জন্য সর্বচ্চো ৬ ইঞ্চি একটি ভাল আকার। বিরল ক্ষেত্রে পারিবারিক (জেনেটিক) এবং হরমোন জনিত সমস্যার কারনে ৩ ইঞ্চির চেয়েও অনেক ছোট লিঙ্গ দেখা যায়। ঔষধ শাস্ত্রে এটি মাইক্রোপেনিস নামে পরিচিত। তবে অনেকের ক্ষেত্রে প্রোষ্টেইট ক্যান্সার অপারেশান সহ নানা রোগের কারনে লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যেতে পারে।
ভুল ধারনা সমুহঃ
– আমাদের মাঝে অনেকেরই একটি ভুল ধারনা আছে যে-অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যায়। এটা মোটেও সত্য নয়। আসলে লিঙ্গ প্রাকিৃতিক ভাবে ছোট বা বড় হয়ে যেতে পারেনা। এটি শুধু উত্তেজনার সময় পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে আকার পরিবর্তন করে।
– অনেক পুরুষ কিংবা নারী পর্ন ফিল্ম দেখে লিঙ্গের আকার এবং মিলেনের সময় নিয়ে নিজের মধ্যে একপ্রকার নেগেটিভ ধারনা করে রাখে। সত্যিকার অর্থে ছবিতে নায়ক তারাই হয় যারা অন্যদের তুলনায় হ্যান্ডসাম হয়। পর্নষ্টারও তার ব্যতিক্রম নয়। পর্নগ্রাফিতে ক্যামেরা এমন এঙ্গেল এ ধরা হয় যাতে ভিজ্যুয়ালী লিঙ্গকে বড় দেখা যায়।
উদাহরন স্বরুপ আপনি যদি কোন একটি উচু স্থানে থেকে নিচে দাড়ানো আপনার কোন বন্ধুর ছবি তোলেন তাহলে তাকে খাটো দেখাবে। তেমনি যদি আপিনি মাটিতে বসে কিছুটা উপরে দাড়ানে অবস্থায় আপনার বন্ধুর ছবি তোলেন তাহলে একই ব্যাক্তিকে অনেক লম্বা দেখাবে। আর সে জন্যই আমরা যখন মাথা নিচু করে আমাদের নিজের লিঙ্গ দেখতে যাই তখন ভিজ্যুয়াল ইল্যুশানের কারনে আমাদের লিঙ্গের আকার প্রকৃত আকারের চেয়ে ছোট দেখা যায়।
এখানে এ বিষয়টি বলে রাখতে চাই – পর্ন ফিল্মে আমরা দেখি একই যুগল ২০/২৫ মিনিট মিলন করছেন। সত্যিকার অর্থে তাদের এই ২০ মিনিট এর মিলন দৃশ্যের শুটিং হয়েছে ২/৩ দিন ধরে। তাদের অনেকবারের মিলনের দৃষ্টিনন্দন অংশগুলো ভিডিও এ্যাডিটে কাট-ছাট করে একটি ক্লিপ বাজারে আসে। তাই পর্ন ফিল্ম দেখে আকার এবং মিলনের সময় নিয়ে আমাদের হতাশ হবার অবকাশ নেই।
যৌন তৃপ্তির জন্য আকার মুল বিষয় নয়। প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে মিলনে এবং সিঙারে আপনার কারুময়তা। আপনি যত বেশি সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে নারীকে “অন” করবেন সে তত বেশি আপনার পার্সোনলিটির প্রতি আবেগী হবে।
নারীর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয় হল – মিলনকালে পেনিট্রেশান (যোনীতে লিঙ্গ প্রবেশ করানো) থেকে সর্ব আনন্দ নিতে হবে তা নয় (শুধু পেনিট্রেশানে কোন পুরুষই নারীকে তৃপ্ত করতে পরেনা) বরং সিঙার (ফোর প্লে) বস্ত্র হরন সহ সকল বিষরের সংমিশ্রনে যৌন মিলনেরে যে প্যাকেজ তা থেকে পরিপুর্ন তৃপ্তি অর্জন সম্ভব। এর জন্য আপনার সঙ্গীর ভাললাগা, তার শরীরের কোন অংশ অতি সংবেদনশীল তা আবিষ্কার করা, যৌন আসনের পরিবর্তন করে যে আসন সর্বচ্চো
কার্যকর তা জানার পর যে কোন যুগল সহজে তাদের শাররীক কাম আগুন নিভাতে সক্ষম হবেন। তাই সম্পর্ক যত পুরোনো – পুর্নতৃপ্তির পরিমানও বেশি হয়। শাররীক মিলন একটি শিল্প – এটা রপ্ত করুন। আপনার নিজের জন্য এবং আপনার সঙ্গীর জন্য।
কিছু পদ্ধতি এবং তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
শরীরের মেদ কমানোঃ “অনেক পুরুষ যারা ভাবে তাদের পুরুষাঙ্গ স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট – তাদের মেদ সমস্যা আছে” – জেনিফার বর্মন, এমডি, ইউরোলজিষ্ট।
পুরুষের মেদ বাড়ার সাথে সাথে শরীরের ওজন কমালে তলপেটে লুকিয়ে থাকা আপনার লিঙ্গ কিছুটা বড় দেখাবে তবে এটি আপনার লিঙ্গের প্রাকৃতিক আকারকে পরিবর্তন করবে না।