Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

প্রথম ডেটিংয়েই প্রেমিকাকে বা নারীকে বশ করার যত উপায় ও কলাকৌশল

প্রথম ডেটিংয়েই প্রেমিকাকে / নারীকে বশ করার  যত উপায় ও কলাকৌশল

বেশিরভাগ নারীরাই  সাধারণত আত্মনির্ভরশীল ও ব্যক্তিত্ববান এবং রোমান্টিক পুরুষদের ভালোবেসে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক পুরুষদের  কি কি গুন থাকলে নারীর মন জয় করে নেয়া যায়।

প্রথম ডেটিংয়েই প্রেমিকাকে নারীকে বশ করার যত উপায় ও কলাকৌশল


রসবোধ এবং বুদ্ধিমত্তা থাকা
সাধারণত  মেয়েরা একটু রসিক প্রিয় ছেলেদেরকেই বেশি ভালোবাসে। যারা যে কোনো বিষয়য়ে সাবলীল রসালাপ করতে পারদর্শী এমন ছেলেদের প্রতিই  মেয়েরা বেশি আকর্ষনবোধ করে। বুদ্ধিমান ছেলেরাই নারীদেরকে অনেক বেশি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।আপনি যদি সঙ্গিনীকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে সবকিছু গুলিয়ে ফেলেন এবং আবলতাবল কর্ম কাণ্ড করে বসেন তাহলে সে সম্পর্ক শুরুর করার আগেই শেষ হয়ে যাবে। তাই একটু সময় নিন এবং ভাবুন কিভাবে তাকে আপনার মনের কথাগুলো গুছিয়ে সহজ ভাবে বলবেন। শুধুমাত্র  রোমান্টিক হলেই চলবে না। রোমান্টিক পরিস্থিতি তৈরি করার কয়েকটা মুখ্য ব্যাপার সম্পর্কেও জানতে হবে। তাই আগে থেকেই কিছু পরিকল্পনা করুন।


আত্মবিশ্বাসী হওয়া
আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা সবসময় মেয়েদের আকর্ষণের কেন্দ্রেস্থলে অবস্থান করে। দ্বিধাগ্রস্ত ছেলেদের প্রতি কখনই মেয়েরা আকৃষ্ট হয় না। একজন পুরুষ যতই সুন্দর আর রূপবান হোক, যদি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস না থাকে তাহলে তার প্রতি কোনো মেয়েই  নির্ভর করবেনা এবং ভালোও বাসবেনা।


শারীরিক দিক দিয়ে উচ্চতা ও দৈহিক গড়ন হওয়া
বিভিন্ন জরিপে দেখা গিয়েছে যে বেশিরভাগ নারীরাই অধিক উচ্চতার পুরুষদেরকে বেশি পছন্দ করে।  আপনার চেহারার ও সৌন্দর্যের চেয়ে মেয়েরা আপনার উচ্চতা ও বলিষ্ঠ গড়নকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।


আত্মনির্ভরশীল এবং স্বাবলম্বী হওয়া
বেশিরভাগ নারীদের পছন্দ আত্মনির্ভরশীল পুরুষর।যারা নিজেদের উপার্জনে দিয়ে চলে সেই পুরুষদেরকেই  নারীরা বেশি পছন্দ করে। যারা বাবার উপার্জন দিয়ে দিনযাপন করে সেই ছেলেদের খুব বেশি পছন্দ করেনা বেশির ভাগ নারীরা। আবার যারা সম্মানিত পদবীতে চাকরী করে তাদেরকেও পছন্দের তালিকায় রেখে থাকেন নারীরা।


পুরুষালী আচরণ
নারী সবসময় নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে নির্ভরতা ও নিরাপত্তা খুঁজে থাকে। যেসব পুরুষ তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম, নারীরদের চোখে তারাই হচ্ছে পুরুষালী আচরণের অধিকারী পুরুষ। আর এ ধরনের পুরুষদের প্রতি নারীর আকর্ষণ থাকে সর্বাধিক।


রিকশায় নিয়ে বেড়াতে যাওয়া
আপনি আপনার সঙ্গীকে রিকশায় অথবা গাড়িতে করে এখানে সেখানে ঘুরতে যেতে পারেন। আপনার সঙ্গিনী যদি এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চারকে বেশি ভালোবাসে, তাহলে প্রথম ডেটিংয়েই ইমপ্রেস করা অনেকটাই  সহজ হয়ে যাবে।


গেইম খেলা
নিজেদের মাঝে গল্প জমিয়ে তুলতে চাইলে ইনডোর গেইম খুব ভালো একটি উপায়। আপনারা লুডো, সাপ-মইয়ের খেলা এবং দাবা এইসব ধরনের মজার মজার ইনডোর গেইম খেলতে পারেন।


বই ও লাইব্রেরি
যাদের বই পড়ার অনেক বেশি নেশা রয়েছে, শুধুমাত্র তারাই লাইব্রেরির কদর বুঝতে পারবেন।যদি আপনার সঙ্গিনী বই পড়তে ভালোবাসেন, তাহলে তাকে নিয়ে সমৃদ্ধ কোন লাইব্রেরিতে বই পড়তে চলে যান। একটি বই দুজন মিলে এক সাথে পড়তে পারেন। বই নির্বাচনের সময়ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারেন।


একসাথে রান্না করা
সঙ্গিনীকে যদি ইমপ্রেস করতে চান তাহলে একসাথে রান্না করতে পারেন। তাহলে সম্পর্কের শুরুটার ভিত্তটাও অনেক মজবুত হবে। আপনি আপনার সঙ্গিনীর সব পছন্দের খাবার গুলো তৈরি করতে পারেন। আবার একসাথে খেতে বসতে পারেন। তাহলে আপনাদের গল্পের রসায়নটাও যে জমবে না, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।


প্রেমিকাকে খুশি করার উপায় এবং মেয়েদের মন জয় করার ২০ টি উপায়

প্রেমিকাকে খুশি করার উপায় এবং মেয়েদের মন জয় করার ২০ টি উপায়

আপনি কোনো এক মেয়েকে ভালবাসেন, আপনি চাচ্ছেন তার মন জয় করে নিতে কিন্তু তা পারছেন ? আজকে আমরা শিখাবো কি করে আপনি সেই মেয়েটির মন জয় করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখি কি সেই মন জয় করার উপায় গুলো


প্রেমিকাকে খুশি করার উপায় এবং মেয়েদের মন জয় করার ২০ টি উপায়

                               ১.আপনি যে মেয়েকেই পছন্দ করেন না কেন কখনোই আপনার মনের কথাগুলো হঠাত করে বলতে যাবেন না। এতে করে মেয়েটির আপনার প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃস্টি হবে এবং অবহেলা চলে আসবে।

                              ২.সাধারণত মেয়েদের সবসময় বিপরীত মুখী আকর্ষণ বেশি।তাই আপনি মেয়েটিকে যত বেশি এড়িয়ে চলবেন মেয়েটি তত বেশি আপনার প্রতি আকর্ষণ বোধ করবে।


                               ৩.কখনই মেয়েটির নামে খারাপ মন্তব্য করবেন না , এমনকি বন্ধুদের সাথেও না। যদি কখনো সে জানতে পারে আপনি তার সম্পর্কে দুর্নাম রটাচ্ছেন তাহলে সে কখনই আপনাকে পছন্দ করবেনা।

                               ৪.সবসময় মেয়েটির প্রশংসা করতে শিখুন ,তাতে একদিন না একদিন তার মন গলে যাবে এবং তার মন পেতেও সহজ হবে ।

                               ৫.মেয়েটিকে ছলেবলে কৌশলে বুঝানোর চেষ্টা করুন যে আপনি তাকে পছন্দ করেন এবং তাকে ভালবাসেন। সে কি কি পছন্দ করে এবং কি অপছন্দ সেই দিক গুলো ভালভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন ।

                               ৬.মেয়েটি যে বিষয় গুলো বেশি পছন্দ করে সেইসব কাজ গুলো বারে বারে করার চেষ্টা করুন।এতে করে সে আপনার প্রতি কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে পরবে।

                               ৭. নিজের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল হোন,সবসময় মনে রাখবেন এলোমেলো নোংরা চুল, নোংরা হাতের নখ, দুর্গন্ধযুক্ত পায়ের মোজা, কালি ছাড়া জুতা, শার্ট কিংবা জিন্সে পেন্ট এ দাগ আছে এমন পোশাক পরিধান করবেন না। কারণ বলা যায় না কোন বিষয় গুলো অপছন্দের কারণ হয়ে দাড়ায়।
                               ৮.খুব দামী দামী কাপড় পরে যে তার সামনে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে, পোশাকটি অবশ্যই পরিছন্ন ও ফ্যাশনেবল এবং আধুনিক হতে হবে। সেই সাথে লক্ষ রাখবেন , সেই পোশাকে যেন সাবলিল থাক যায় ।যাতে করে মেয়েটির সামনে আপনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে।
                               ৯.কিছু ছোট খাটো বিষয় আছে যেগুলো একটু খেয়াল করে চলতে হবে। পরুষদের দায়িত্ব হচ্ছে নারীদেরকে নিরাপত্তা নিষ্চিত করা। তাকে একা পেছনে ফেলে কখনই নিজে এগিয়ে যাবেন না। বেড়াতে যাওয়া অথবা খাবার সময় এমন কিছু বিষয় আছে যেখানে তার পছন্দের প্রতি মুল্য ও সন্মান প্রদর্শন করা এবং তার কথার গুরুত্ব দেয়া। মনে রাখবেন সব নারীরাই গুরুত্ব পেতে ভালোবাসে। তারা সবসময় পুরুষদেরকে নিজের সর্বোত্তম আশ্রয়দাতা ও প্রাপ্তি নিশ্চিত করার সীমান মনে করে।

                               ১০.তার দেওয়া সকল উপহার সানন্দে গ্রহণ করবেন।সবসময় তার রান্নার প্রশংসা করবেন। যদি তার রান্না পছন্দ নাও হয় তাহলে কখনই বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। মনে রাখবেন সে অনেক আন্তরিকতা ও কষ্ট করে শুধু আপনাকে খুশি করার জন্যই এসব করেছে ।

                               ১১. শান্ত স্বভাবের অনেক পুরুষ আছে যারা খুব অল্প কিছুতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় কিন্তু আবার খুব সহজেই কমে যায়। আপনার কাজ হবে, কিছু সময় শান্ত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং শান্তি বজায় রাখা।

                               ১২.আপনাকে একটু সময়ানুবর্তী হতে হবে। সময় করে সব কাজ গুলো করতে হবে।

                               ১৩.আপনি যতটুকু পারেন তার চোখে চোখ রেখে কথা বলার চেষ্টা করুন, তাহলে কিছুক্ষণের জন্য হলেও আপনি তার সমস্ত মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারেন।


                               ১৪. মেয়েরা হ্যাপি নিউ য়িয়ার ,বার্থডে,ভালবাসা দিবস ইত্যাদি দিনে একটু বেশি আবেগ প্রবন থাকে তাই এই দিনগুলিতে যদি একটা গিফট আপনার প্রিয়জনকে দিতে পারেন তাহলে আপনার প্রতি একটু দুর্বল হয়ে পরবে। কিন্তু আবেগ দেখাতে যাবেন না তাহলে ধরা খাবেন ।

                               ১৫. আপনি যে মেয়েটিকে পছন্দ করেন তার সাথে কথা বলার সময় একটু মুচকি হাসি দিন । সাধারণত মেয়েরা ছেলেদের মুচকি হাসি অনেক বেশি পছন্দ করে।

                               ১৭. কখনই মেয়েটির সাথে মিথ্যা কথা বলবেন না । মেয়েরা মিথ্যাবাদী ছেলেদেরকে মোটেও পছন্দ করে না।

                               ১৮.সাধারণত মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী ছেলেদেরকে বেশি পছন্দ করে তাই সবসময় নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলুন।

                               ১৯.মেয়েটির মন ভাল রাখার জন্য আপনি বিভিন ধরনের হাসির গল্প ও জোকেস বলতে পারেন।

                               ২০.কখনই তার দূর্বল জায়গা গুলোতে আঘাত করা যাবে না। কারণ তার দুর্বল জায়গা গুলো নিয়ে কথা বললে সে আপনার উপর রেগে যাবে ।এটা মেয়েরা কখনই পছন্দ করে না।

 এই বিষয় গুলো ফলো করলেই সহজেই মেয়েদের মন জয় করতে পারবেন।