Subscribe For Free Updates!

We'll not spam mate! We promise.

কিভাবে অধিক সময় যৌন মিলন করবেন? তিনটি গুরুত্বপুর্ন পদ্ধতি।

নারীকে যৌন উত্তেজিত করার চারটি সুত্র



১. সিঙার: বেশির ভাগ নারী মিলনপুর্ব সিঙারে সরাসরি যৌন মিলনের ছেয়ে বেশি তৃপ্তি পেয়ে থাকে। তাই ফোর-প্লে তে অধিক সময় নিন।
২. কল্পনা / ফ্যান্টাসী: শাররীক মিলনকালে অথবা অন্য সময় যৌনতা নিয়ে কল্পনা করা মোটেও ভুল নয়। সঙ্গীর উত্তেজক কর্মকান্ডের সাথে আপনার কল্পনা মিশিয়ে এক সুখকর আবেশে জড়াতে পারেন। কল্পনার রাজ্যে সব পুরুষ রাজা আর তার সঙ্গী রাণীর আসনে থাকে।
৩. সরাসরি মিলনে দেরী করা: নারী, বিশেষ করে তরুনীরা সাধারনত বেশি বেশি চুমা, ছোয়া সহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক যৌন উত্তেজক বিষয় একটু বয়স্কদের চেয়ে বেশি কামনা করে। বয়সবেধে চরম উত্তেজনায় পৌছতে কম/বেশি সময় নিয়ে থাকে। আপনার সঙ্গীর আকাঙ্খার উপর ভিত্তি করে পেনিট্রেশানের আগে আরো কিছু সুখ আদান প্রদান করুন।
৪. ভাইব্রেটর: আমাদের দেশে এখনো সেক্স টয় বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ। তাই নারীকে উত্তেজিত করার জন্য ভাইব্রেটর এর বিকল্প আপনার মধ্যমা আঙুলী দিয়ে তার যোনীর ভিতর জি-স্পট (যৌনাঙ্গের কিছুটা ভিতরে অতি সংবেদনশীল অঞ্চল) এ কম্পন সৃষ্টি করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন কোন অভ্যাস যেন স্থায়ী না হয়ে যায়?

কিভাবে অধিক সময় যৌন মিলন করবেন? তিনটি গুরুত্বপুর্ন পদ্ধতি।

কিভাবে অধিক সময় যৌন মিলন করবেন? তিনটি গুরুত্বপুর্ন পদ্ধতি।


মিলনে পুরুষের অধিক সময় নেওয়া পুরুষত্বের মুল যোগ্যতা হিসাবে গন্য হয়। যেকোন পুরুষ বয়সেরর সাথে সাথে  মিলনের নানাবিধ উপায় শিখে থাকে। এখানে বলে রাখতে চাই – ২৫ বছরের কম বয়সী পুরুষ সাধারনত বেশি সময় নিয়ে মিলন করতে পারেনা। তবে তারা খুব অল্প সময় ব্যাভধানে পুনরায় উত্তেজিত/উত্তপ্ত হতে পারে। ২৫ এর পর বয়স যত বাড়বে মিলনে পুরুষ তত বেশি সময় নেয়। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে  পুনরায় জাগ্রত (ইরিকশান) হওয়ার ব্যাভধানও বাড়তে থাকে।
তাছাড়া এক নারী কিংবা একপুরুষের সাথে বার বার মিলন করলে যৌন মিলনে বেশি সময় দেয়া যায় এবং মিলনে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়। কারন স্বরুপ: নিয়মিত মিলনে একে অপরের শরীর এবং ভাললাগা/মন্দলাগা, পছন্দসই আসনভঙ্গি, সুখ দেয়া নেয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকে।
[উল্লেখ্যঃ যারা বলেন “এক তরকারী দিয়ে প্রতিদিন খেতে ভাল লাগেনা – তাই পর নারী ভোগের লালসা” – তাদেরকে অনুরোধ করছিঃ দয়াকরে মিথ্যাচার করবেন না। এমন যুক্তি ভিত্তিহীন। পরকীয়া আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। মাত্র কয়েক মিনিটের কাম যাতনা নিবারনের জন্য আজীবনের সম্পর্কে অবিশ্বাসের কালো দাগ লাগাবেন কেন? অবিবাহীত ভাই ও বোনেরা, আপানাদের কি অতটা বড় বুকের পাটা আছে – যদি বিয়ের পরে আপনি জানেন যে আপনার স্ত্রী ‘সতী’ নয় তখন তার সাথে বাকি জীবন কাটাবেন? তাহলে কেন শুধু শুধু বিবাহ-পুর্ব মিলনের জন্য এত ব্যকুলতা? যে ধরনের নারীকে আপনি গ্রহন করতে পারবেন না – অথচ সেই আপনি অন্য পুরুষের ভবিষ্যৎ বধুর সতীত্ব লুটবেন?
দুঃখিত যদি কারো ব্যক্তি সত্বায় আঘাত করে থাকি।]
মুল আলোচনায় আসি। বলছিলাম যৌন মিলনে অধিক সময় দেয়ার পদ্ধতি সমুহ নিয়ে…
পদ্ধতি ১:- চেপে/টিপে (স্কুইজ) ধরা:
এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন মাষ্টার এবং জনসন নামের দুই ব্যাক্তি। চেপে ধরা পদ্ধতি আসলে নাম থেকেই অনুমান করা যায় কিভাবে করতে হয়। যখন কোন পুরুষ মনে করেন তার বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন সে অথবা তার সঙ্গী লিঙ্গের ঠিক গোড়ার দিকে অন্ডকোষের কাছাকাছি লিঙ্গের নিচের দিকে যে রাস্তা দিয়ে মুত্র/বীর্য বহিঃর্গামী হয় সে শিরা/মুত্রনালী কয়েক সেকেন্ডর জন্য চেপে ধরবেন। (লিঙ্গের পাশ থেকে দুই আঙ্গুল দিয়ে ক্লিপের মত আটকে ধরতে হবে।)। চাপ ছেড়ে দেবার পর ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের মত সময় বিরতী নিন। এই সময় লিঙ্গ সঞ্চালন বা কোন প্রকার যৌন কর্যক্রম করা থেকে বিরত থাকুন।
এ পদ্ধতির ফলে হয়তো পুরুষ কিছুক্ষনের জন্য লিঙ্গের দৃঢ়তা হারাবেন। কিন্তু ৪৫ সেকেন্ড পুর পুনরায় কার্যক্রম চালু করলে লিঙ্গ আবার আগের দৃঢ়তা ফিরে পাবে।
স্কুইজ পদ্ধতি এক মিলনে আপনি যতবার খুশি ততবার করতে পারেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।
পদ্ধতি ২:- সংকোচন (টেনসিং):
এ পদ্ধতি সম্পর্কে বলার আগে আমি আপনাদের কিছু বেসিক ধারনা দেই। আমরা প্রস্রাব করার সময় প্রসাব পুরোপুরি নিঃস্বরনের জন্য অন্ডকোষের নিচ থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চলে যে এক প্রকার খিচুনী দিয়ে পুনরায় তলপেট দিয়ে চাপ দেই এখানে বর্নিত সংকোচন বা টেনসিং পদ্ধতিটি অনেকটা সে রকম। তবে পার্থক্য হল এখনে আমরা খিচুনী প্রয়োগ করবো – চাপ নয়।
এবার মুল বর্ননা – মিলনকালে যখন অনুমান করবেন বীর্য প্রায় স্থলনের পথে, তখন আপনার সকল যৌন কর্যক্রম বন্ধ রেখে অন্ডকোষের তলা থেকে পায়ুপথ পর্যন্ত অঞ্চল কয়েক সেকেন্ডের জন্য প্রচন্ড শক্তিতে খিচে ধরুন। এবার ছেড়ে দিন। পুনরায় কয়েক সেকেন্ডের জন্য খিচুনী দিন। এভাবে ২/১ বার করার পর যখন দেখবেন বীর্য স্থলনেরে চাপ/অনুভব চলে গেছে তখন পুনরায় আপনার যৌন কর্ম শুরু করুন।
সংকোচন পদ্ধতি আপনার যৌন মিলনকে দীর্ঘায়িত করবে। আবারো বলি, সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করা বোকামী হবে।
পদ্ধতি ৩:- বিরাম (টিজিং / পজ এন্ড প্লে):
এ পদ্ধতিটি বহুল ব্যবহৃৎ। সাধারনত সব যুগল এ পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। এ পদ্ধতিতে মিলনকালে বীর্য স্থলনের অবস্থানে পৌছালে লিঙ্গকে বাহির করে ফেলুন অথবা ভিতরে থাকলেও কার্যকলাপে বিরাম দিন। এই সময় আপনি আপনাকে অন্যমনস্ক করে রাখতে পারেন। অর্থ্যৎ সুখ অনুভুতি থেকে মনকে ঘুরিয়ে নিন।যখন অনুভব করবেন বীর্যের চাপ কমে গেছে তখন পুনরায় শুরু করতে পারেন।
বিরাম পদ্ধতির সফলতা সম্পুর্ন নির্ভর করে আপনার অভ্যাসের উপর। প্রথমদিকে এ পদ্ধতির সফলতা না পাওয়া গেলেও যারা যৌন কার্যে নিয়মিত তারা এই পদ্ধতির গুনাগুন জানেন। মনে রাখবেন সব পদ্ধতির কার্যকারীতা অভ্যাস বা প্রাকটিস এর উপর নির্ভর করে। তাই প্রথমবারেই ফল পাওয়ার চিন্তা করবেন না।
পরিশিষ্ট: উপরের সবকয়টি পদ্ধতি আপনার সঙ্গীর তৃপ্তির উদ্দেশ্যে। অনেকের ধারনা নারী এ ট্রিকস্ গুলো অনুমান বা জানতে পারলে পুরুষত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। ধারনাটি সম্পুর্ন ভুল। আপনি আপনার স্ত্রীকে পদ্ধতিগুলো বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সেই আপনাকে সাহায্য করছে। কারন সে জানে আপনি বেশি সময় নেয়া মানে সে লাভবান হওয়া।

যৌনাঙ্গের পরিমাপ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত

যৌনাঙ্গের পরিমাপ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত


বহু যুগ ধরে যৌনতা সম্পর্কে নানা সত্য-মিথ্যা ধারণা আমাদের মধ্যে প্রচলিত আছে৷ সেই ধারনাগুলি সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত আপনাদের জানানো হল৷

যৌনাঙ্গের পরিমাপ প্রভাবিত করে ?

একজন মহিলার যৌন সেশনকে বেশী মাত্রায় পরিতৃপ্ত করতে তার পুরুষ সঙ্গীর যৌনাঙ্গের আকার – আকৃতি বা পরিমান- পরিমিতি প্রভাবিত করে না৷ এর পরিমিতি মহিলার যৌন চাহিদা পরিতৃপ্ত করতে পারে না৷ যখন সাইজের প্রশ্ন আসে তখন সবার জন্য এক রকম সাইজ কার্যকরী হয় না৷ তাই যৌন কার্যে এটি একটি আপেক্ষিক বিষয়৷

বেশী বড় পুরুষ যৌনাঙ্গ কখনই মহিলাদের খুব বেশী Stimulate করতে পারে না৷ যৌন কার্যকালে গর্ভাশয়ের আগে পর্যন্ত পুরুষ যৌনাঙ্গ পৌঁছলেই তা পরিতৃপ্তির কারণ হয়৷ তা না হলে সঙ্গমকালীন যৌন পরিতৃপ্তি তেমন সুখকর হয়ে ওঠে না৷ এই পরিস্থিতিতে ক্ষেত্রে মহিলারা Satisfied হয় না৷

সঙ্গম যত বেশী তত ভালো ?

সঙ্গমকালীন অনুভুতি আপনি কেমন করে মিলিত হচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করে, আপনি কতবার সঙ্গম করছেন তার ওপর নির্ভরশীল নয়৷ আমাদের মধ্যে ধারণা আছে, যতবেশি বার সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া যায় শারীরিক ক্ষেত্রে তার খুব ভালো ফল পাওয়া যায়৷ আপনার শারীরিক সক্ষমতা বা আপনার সুস্থ স্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা আপনাকে যৌন মিলনে আকর্ষিত করে, এমন কিন্তু নয়, বা সুস্থ-স্বাভাবিক ভাবে প্রতিনিয়ত কয়েকবার যৌন মিলন আপনার শারীরিক সুস্থতা বাড়ায়, এই ধারণা ভুল৷

কতবার বা কতক্ষণ ধরে সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি হচ্ছে তা গুরুত্ব পূর্ণ নয়৷ যৌনতা নিবৃত্তি করাই যৌন মিলনের মূল বিষয় নয়, এটিও এক চরম আনন্দ যা দুজনে একসঙ্গে একভাবে অনুভব করে৷

যৌন মিলনের পদ্ধতি সকলেই জানে ?

প্রথমবার যৌন মিলনকালে প্রত্যেকেই এই ঘটনার জন্য কৌতুহলী থাকে৷ অত্যধিক আগ্রহ বা কৌতুহল বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে শীঘ্রপতনের সমস্যার সৃষ্টি করে৷ এছাড়া সঠিক পদ্ধতিতে যৌনকার্য সম্পাদিত হয় না৷ প্রথম মিলন কালীন সৃষ্ট এই অসুবিধাকে বলা হয় performance anxiety৷ যখন কোন জুড়ি প্রথমবার মিলনে আবদ্ধ হচ্ছেন তার আগে এবিষয়ে সঠিক ভাবে জেনে নেওয়া ভীষণ জরুরি৷

যৌন ইচ্ছা মানুষের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে তার মধ্যে চলে আসে ৷ এটি জন্মগত প্রাপ্ত একটি কামনা যা প্রত্যেক প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়৷ আর প্রাকৃতিকগত ভাবেও এই ইচ্ছাটি আমাদের মধ্যে চলে আসে৷ কিন্তু এই কাজের পদ্ধতি আমরা শিখি না৷ যৌন সঙ্গম নিয়ে যে সকল অবিচ্ছিন্ন ধারণা আমাদের মধ্যে প্রচলিত আছে তা থেকে বেড়িয়ে আসতে বা এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা তৈরি করতে আমাদের এই বিষয়ে সিক্ষা গ্রহণ করা উচিত৷

যৌন মিলন যেকোন স্বাভাবিক মানুষের ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় একটি চাহিদা তাই এর সঠিক প্রগোগ কৌশল জানা আমাদের একান্ত জরুরী৷

পুরুষের যৌন চাহিদা বেশী থাকে ? 

যৌনতায় পুরুষ এবং স্ত্রী উভয়েরই সমান আগ্রহ থাকে৷ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষ ভালোবাসে যৌন পরিতৃপ্তি পাওয়ার জন্য৷ আর মহিলাদের ক্ষেত্রে ঘটনাটি ঘটে ঠিক উল্টো৷ অর্থাৎ মহিলারা যৌন মিলনে এগিয়ে আসে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য৷ যৌন মিলন ভালোবাসার পরিনতি হতে পারে এর উল্টোটা কখনই হয় না অর্থাত যৌন মিলনের ফলে ভালোবাসা সৃষ্টি হতে পারে না৷

মহিলারা তাদের শারীরিক চাহিদা সম্পর্কে এত মুখর হয় না৷ পুরুষ এই চাহিদার কথা অতি সহজেই বলতে পারলে ও মহিলারা তাদের যৌন চাহিদার কথা খুব সহজে বলতে পারেন না৷ কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে মহিলারাও এই ব্যপারে তাদের মতামত বা চাহিদার কথা জানাতে বা বলতে দ্বিধা বোধ করছেন না৷

পুরুষদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়

পুরুষদের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়


অধিকাংশ পুরুষের মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে। দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌন ইচ্ছা যাচ্ছে ক্রমশ কমে। কাজেই যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার আগে থেকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন৷ জেনে নিতে পারেন কী করে এই চাহিদা ক্রমশ ক্ষয়মান হচ্ছে৷

হোম রেমেডি পুরুষের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ তারা যাতে আবার তাদের পূর্ণ যৌন ইচ্ছা ফিরে পায় তার উপায় বার করেছে হোম রেমেডি৷ যাদের মধ্যে এই অসুবিধা সবেমাত্র দেখা দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে হোম রেমেডি কার্যকরী হতে পারে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম রেমেডি দ্বারা চিকিৎসা করা যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়৷

এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিৎসাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কি কি সামগ্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার হয়-

রসুন: যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুনকে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে৷ যা আমরা প্রায় প্রতিনিয়্তই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি৷

আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷ এছাড়া যদি কোনো ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশি হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রেও রসুন খুবই কার্যকরী৷

প্রতিদিন দু’ থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে৷ এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উৎপাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ্য স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷

পেঁয়াজ: কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসেবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ কিন্তু এটি কীভাবে এই বিষয়ে কার্যকরী তা এখনো পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি৷

সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷

এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এটির নিয়্মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷

গাজর: দেড়শো গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

স্ত্রী সহাবাসের আগে ও পরে করনীয় সব কিছু ।

স্ত্রী সহাবাসের আগে ও পরে করনীয় সব কিছু ।


সম্ভোগের আগে স্বামীর কর্তৃব্য

১। পতির কর্তব্য হলো, পত্নীকে প্রিয়তমা জ্ঞানে বা সত্যিকারের ধর্মপত্নী জ্ঞানে নিজের তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তারও দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তি বিধান করা। নিজের কামনা পরিতৃপ্ত করাই সম্ভোগের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।

২। কোন প্রকার বল প্রয়োগ করা আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়। একথা মনে রাখতে হবে।

৩। চুম্বন, আলিঙ্গন, নিপীড়ন ইত্যাদি নানাভাবে স্ত্রীর মনে পূর্ণ কামাব জাগিয়ে তারপর তার সঙ্গে সহবাসে রত হওয়া প্রতিটি পুরুষের কর্তব্য।

৪। নারী ধীরে ধীরে আত্নসমর্পণ না করা পর্যন্ত তার সঙ্গে কখনও সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।

৫। নারী কখনও নিজের যৌন উত্তেজনাকে মুখে প্রকাশ করে না। তবে সেটা অনেকটা লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হয়।

৬। নারীর কর্তৃব্য সর্বদা পতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার ভাব ফুটিয়ে তোলা।

৭। পতিকে ঘৃণা করা, তাকে নানা কু-কথা ইত্যাদি বলা কখনই উচিত নয়। সহবাসের অনিচ্ছা থাকলে তা তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত। ঘৃণা বা বিরক্তিসূচক তিরস্কার করা কখনও উচিত নয়। এতে পতির মনে দুঃখ ও বিরক্তি জাগতে পারে।

৮। নারীর কর্তৃব্য স্বামীর চুম্বন, দংশন ও আলিঙ্গনের প্রতিউত্তর দেওয়া।

৯। নারীর পূর্ণ কামভাব জাগলে পতিকে কৌশলে তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।

১০। নারীর উত্তেজনা ধীরে ধীরে আসে-আবার তা ধীরে ধীরে তৃপ্ত হয়। পুরুষের উত্তেজনা আসে অকস্মাৎ আবার তা অকস্মাৎ শেষ হয়। তাই নারীর পূর্ণ কামভাব না জাগিয়ে সঙ্গমে মিলিত হলে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পেতে পারে না। এরকম করা রিধিবিরুদ্ধৃ। এতে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পায় না- এর জন্যে সে পর-পুরুষ পর্যন্ত গমন করতে পারে। দাম্পত্য জীবনে অনেক বিপর্যয় এর জন্যে আসতে পারে।

স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তির উপায়

১। গালে ঠোঁটে ঘন ঘন চুম্বন করা।

২। স্ত্রীর ঊরুদেশ জোরে জোরে মৈথুনের আগে ঘর্ষণ করা।

৩। সম্ভোগের আগে যোনিদেশ, ভগাঙ্কুর কামাদ্রি আলতো ভাবে ঘর্ষণ করা।

৪। ভগাঙ্কুর মর্দন।

৫। মৈথুনকালে স্তন মর্দ্দন।

৬। সহাবাসের আগে যদি পুরুষাঙ্গের আগায় খুব সামান্য পরিমাণ কর্পূর লাগানো হয় তবে স্ত্রী দ্রুত তৃপ্তি লাভ ক’রে থাকে। তবে কর্পূর যেন বেশি না হয়, তাতে স্ত্রী যোনি ও পুরুষাঙ্গ জ্বলন অনুভূত হ’তে পারে।

সহবাসের কাল

১। মেয়েদের একটু ঘুমোবার পর রাত্রির দ্বিতীয় প্রহর শ্রেষ্ঠ মৈথুন সময়।

২। দিনের বেলা সহবাস নিষিদ্ধ।

৩। ভোরবেলা সহবাস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হ’তে পারে।

৪। গুরু ভোজনের পর সঙ্গে সঙ্গে সহবাস নিষিদ্ধ।

৫। ক্রুদ্ধ বা চিন্তিত মেজাজে স্ত্রী সহবাস উচিত নয়। প্রফুল্ল মনে সহবাস উচিত।

কোন ঋতু মৈথুনের পক্ষে কতটা উপযোগী তার বিচার করা হচ্ছে।

ক। বসন্তকাল-৯০%।

খ। শরৎকাল-৭০%।

গ। বর্ষাকাল-৫০%।

ঘ। হেমন্তকাল-৪০%।

ঙ। গ্রীষ্মকাল-৩০%।

চ। শীতকাল-২০%।

প্রহরণ বা মৃদু প্রহার

মৈথুনকালে মৃদু প্রহার-শৃঙ্গারও কামের একটি অঙ্গ হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে।

কথাটা শুনতে অনেকটা আশ্চার্য্য বোধ হয়, কিন্তু কামসূত্রে তার ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয়েছে।

নারী কিছুটা উৎপীড়িত হ’তে চায় যৌন মিলনে-তাই মনোবিজ্ঞান স্বীকার করে যে, পুরুষ কিছুটা উৎপীড়ন করতে পারে নারীকে।

কিন্তু প্রহরণ ঠিক শৃঙ্গার নয়-কারণ মিলনের আগে এর প্রয়োজন নেই।

পূর্ণ মিলনের সময় আনন্দ বৃদ্ধির জন্যে পুরুষ ধীরে ধীরে নারী-দেহের কোমল অংশে মৃদু প্রহার করতে পারে।

পুরুষ অথ্যাচারী-মনোবিজ্ঞানের মতে যে প্রহার করা হয় তা আনন্দের। তাই বলে এতে দু’জনেই যে আনন্দ পাবে এমন নয়। এটা দু’জনের মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।

প্রহরণের মধ্যে আবার প্রকারভেদ আছে-

১। মুষ্টি প্রহার-হাত মুষ্টি বদ্ধ করে দেহের বিভিন্ন অংশে মৃদু প্রহরণ।

২। চপেটাঘাত (হাত খুলে রেখে ধীরে ধীরে।)

৩। দু’টি অঙ্গুলির সাহায্যে প্রহরণ।

৪। প্রহরণ ও সংবহন মিশ্রিত করে প্রহরণ।

মর্দন বা সংবাহন

যদিও মর্দন শৃঙ্গার কালে মাঝে মাঝে হয়- তবে এই মর্দন প্রকৃত শৃঙ্গার নয়।

মর্দন বেশি হয় রতিকালে বা রতির পূর্বে।

নারীদেরহর কোমল অংশে যেমন স্তন, নিতম্ব, ঊরুদ্বয় প্রভৃতির মর্দন হ’য়ে থাকে।

রতিক্রিয়াকালে স্তন ও নিতম্ব মর্দন করেও পুরুষ ও নারী উভয়ে আনন্দ পায় বলে বাৎস্যায়ন বলেছেন।

তবে যারা পছন্দ করেন তাঁরাই এটা করবেন। যদি একজন বা দু’জনেই পছন্দ না করেন তবে এর প্রয়োজন নেই।

ঔপরিষ্ঠক বা মুখমেহন

মুখমেহন স্বাভাবিক মিলন হিসাবে বাৎস্যায়ন স্বীকার করেন নি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এটি সর্বদা চলতে পারে না। তবু শাস্ত্রে এটি উল্লিখিত হয়েছে।

শাস্ত্রে উল্লিখিত হবার অর্থ অবশ্য এই নয় যে, এটি খুব ভাল আসন বা এটি সম্মান পেয়েছে। শাস্ত্রে কেবল এটাকে একটি অস্বাভাবিক মিলন বলেই এর নাম উল্লিখিত হয়েছে।

ভারতের কোন কোন জাতির মধ্যে ঔপরিষ্ঠক স্বীকৃত ও বেশ প্রচলিত-কিন্তু তাই বলেই তাকে উচ্চ স্থান দেওয়া হয় না।

মুখমেহন সব পণ্ডিতের মতেই ঘৃন্য-তাই এ বিষয়ে বেশি আলোচনা করা হলো না।

বাৎস্যায়ন বলেন নারী শুধু তিনটি শ্রেণীরই নয়-তাছাড়াও আছে আর এক শ্রেণী-তার নাম হলো নপুংষক শ্রেণী।

এই নপুংষক শ্রেণীর যোনি ঠিকমত গঠিত নয়-তাই এদের সঙ্গে যৌন ক্রিয়া সম্ভব নয়। এদের দ্বারা কেবল মুখমেহন করানো চরতে পারে।

এই শ্রেণীর নপুংষক অনেক সময় অর্থের বিনিময়ে মুখমেহনে রাজী হয়।

এই মুখমেহন আট প্রকার হ’য়ে থাক-

১। নিমিত-এতে নপুংষক তার করতলে পুরুষাঙ্গ ধরে আসে- আসে- তার ওষ্ঠাধারে ঘর্ষণ করে।

২। পার্শ্ব-লিঙ্গ মুণ্ডের আবরণ খুলে আসে- আসে- মুখে প্রবেশ করানো।

৩। বহিঃসংদংশন্তদাঁত ও ঠোঁট দিয়ে পুরুষাঙ্গের আবরণ উন্মোচন।

৪। পুরুষাঙ্গ বারে বারে মুখের ভেতরে নেওয়া ও বের করা। বহুক্ষণ এরূপ করা।

৫। অন্তঃসংদংশন্তওষ্ঠাধর দিয়ে চোষণ করা।

৬। জিহ্বা দ্বারা চোষণ।

৭। আম্রচোষণ-পুরুষাঙ্গ আম্রের মত চোষণ করা।

৮। আকন্ঠীত-সম্‌সত পরুষাঙ্গ গিলে ফেলার মত।

মুখের মধ্যে সুরতের সঙ্গে সঙ্গে আলিঙ্গনাদিও চলতে পারে।

অনেক নীচজাতীয়া নারীদের দ্বারা এ কাজ করানো যেতে পারে।

কামশাস্ত্রে মুখে সুরত নিষিদ্ধ। তবে অনেকে এটি পছন্দ করেন।-বা কোন রাবাঙ্গনা রাজী হলে তার দ্বারা এটি করান। কিন্তু অন্তঃপুর চারিনীদের এটি করা উচিত নয়।

সহবাসের পরের কথা

সহবাসের পরে দু’জনেরই উচিত কমপক্ষে এক পোয়া গরম দুধ, একরতি কেশন ও দুই তোলা মিশ্রি সংযোগে সেবন করা। সহবাসে কিছু শক্তির হ্রাস হ’তে পারে। এতে করে কিঞ্চিৎ পূরণ হয়। অন্যথায় সহবাস করা উচিত নহে। এই কারণেই মনীষীরা মাসানে- একবার রতিক্রিয়া ব্যবস্থা করে দেন। যাতে উপরোক্ত সামগ্রীর যোগাড় করতে গরীব বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকের পক্ষেও কষ্টকর না হয়। পুষ্টিকর খাদ্য না খেলে পুরুষ অচিরেই শক্তিহীন হ’য়ে পড়ে ও তার কর্মশক্তি লোপ পায়।

অত্যধিক মৈথুনের জন্য হজমশক্তি লোপ পায়। ফলে অম্ল, অজীর্ণ প্রভৃতি নানা প্রকার রোগ দেখা দেয়। এই সমস্ত রোগের হাত থেকে নিশ্চিত ভাবে নিষকৃতির জন্য মৈথুনের পর দুগ্ধ পান অত্যাবশ্যাক। অবস্থায় সম্ভব হলে নিম্নের টোটকাগুলি ব্যবহার করলে ভয়ের কারণ থাকবে না।

(১) বাদাম দুই তোলা ভালভাবে বেটে নিয়ে তা মিশ্রি সংযোগে মৈথুনের পর গরম করে খেলে বিশেষ উপকার হয়।

(২) দুতোলা ঘি, দু তোলা মিশ্রি কিংবা গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করলে সহজে ক্ষয় পূরণ হয়।

(৩) মুগের ডাল ভালভাবে বেটে নিয়ে ভেজে নিন, পরে মিশ্রি কিংবা চিনি মিশিয়ে নাড়ার মত করে চার তোলার মত মৈথুনের পর খেয়ে নিলে উপকার হয়।

সহবাসের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষাঙ্গ ধৌত করলে নপুংষকতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেজন্য রতিক্রিয়ার কিছু সময় পরে পুরুষাঙ্গ ধৌত করা বিধেয়। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রত্যেকের উচিত।

সহবাসের পর দেহের বিষয়ে কি কি যত্ন নিতে হবে এ বিষয়ে শাস্ত্রে কতগুলি নিয়ম বিধিবন্ধ আছে। আমরা তা একে একে আলোচনা করছি।

১। সহবাসের পর দু’জনের কিছুক্ষণ পরস্পর সংলগ্ন হ’য়ে অবস্থান করবে। এতে মানসিক তৃপ্তি হয়। ধীরে ধীরে দেহ শীতল হয়। এতে প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হ’য়ে থাকে।

২। তারপর অবশ্য প্রত্যেকেই নিজ নিজ যৌনাঙ্গ ভালভাবে ধৌত করবে-এটি অবশ্য পালনীয়। তবে কিছুক্ষণ পর।

৩। অনেক শাস্ত্রে দুজনের ্লান করা বিধান আছে তবে তা সকলে পালন করে না।

৪। শর্করা মিশ্রিত এক গ্লাস জল কিঞ্চিৎ লেবুর রস বা দধি কিংবা শুধু ঠাণ্ডা জল কিছু খেতে হবে। এতে শরীরের মঙ্গল করে।

৫। প্রয়োজন হরে কোন পেটেন্ট ঔষধ সেব করা যাইতে পারে।

৬। সহবাসের পর ঘুম একান্ত আবশ্যক-তদাই শেষ রাতে সহবাস বাঞ্ছনীয় নয়।

৭। পরদিন প্রভাতে স্নান করা একান্ত আবশ্যক। তা না হলে মন শুচি হয় না- কর্মে প্রফুল্লতা আসে না। অন্যথায় পরদিন মন খারাপ থাকে, কর্মে একঘেয়েমি আসতে পারে।

৮। সহবাস প্রারম্ভে বা শেষে নেশা সেবন ভাল নয়। এতে দৈহিক ক্ষতি হয়-প্রেম দূরে যায়-মানসিক অসাড়তা আসতে পারে।

৯। রাত্রির প্রথম ও শেষ প্রহর বাদে মধ্যম অংশই সহবাসের পক্ষে উৎকৃষ্ঠ সময়, এ কথা সর্বদা মনে রাখতে হবে।

১০। সহবাসের পর অধিক রাত্রি জাগরণ, অধ্যয়ন, শোক প্রকাশ, কলহ কোন দুরূহ বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তা ও মানসিক কোন উত্তেজনা ভাল নয়।

সফল মৈথুন

এবারে আমরা একটি প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা সফল মৈথুন।

এমন প্রশ্ন অনেকে করতে পারে-মৈথুন আবার সফল অ-সফল কি? যথারীতি নর-নারীর মিলন। দৈহিক মিলনের পরিপূর্ণ আনন্দ ও রেতঃপাত। এই ত মৈথুন।

আমরা বলব না, তা নয়।

তবে?

আমরা বলব শতকরা একটি কি দু’টির বেশি মৈথুন সফল মৈথুন হয় না। কেন হয় না? তা বলতে গের সফল মৈথুন কি, সে বিষয়ে আলোচনা করতে হয়। স্ত্রীর কামনার তৃপ্তি কম বেশি হয়ত হয়ে থাকে। তথাপি স্ত্রী গর্ভবতী হ’য়ে সন্তানের জন্মও দিতে সুরু করে, তবু তা সফল মৈথুন হয় না।

কেন?

এর উত্তর হলো শৈথুন বা রেতঃপাত অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু সফল মৈথুন খুব অল্প জনের ভাগ্যেই ঘটে থাকে।

এবার সে বিষয়ে আলোচনা করব।

সফল মৈথুনের পরিচয়

যে মৈথুন করলে শারীরিক, মানসিক ও দৈহিক কোনও ক্ষতি হয় না। উলটে কর্মে আনন্দ ও একাগ্রতা আসে এবং মৈথুনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়; স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় এবং হৃদয় প্রফুল্ল ও শান্ত, ্লিগ্ধতায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে-তাকে সফল মৈথুন বলে।

সফল মৈথুনের ফল

১। মনের শান্তি পায়। মন সর্বকাজে দৃঢ় হ’য়ে থাকে ও মনের উৎসাহ বাড়ে।

২। কাজকর্মে একাগ্রতা আনে। কাজকর্মের দিকে মন সংযোগ বৃদ্ধি পায়।

৩। দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তির জন্যে কর্মক্ষমতা বৃৃদ্ধি পায়। নিজেকে গর্ব অনুভব করে।

৪। স্ত্রীর প্রতি প্রেম বৃদ্ধি পায় ও স্ত্রীকে প্রকৃত ভালবাসতে পারে। স্ত্রীর আকর্ষণ আসে স্বামীর প্রতি।

৫। অন্য নারীর প্রতি আকর্ষণ থাকে না।

অসফল মৈথুনের ফল

১। মনে শান্তি থাকে না। মন ধীরে ধীরে অবসাদে ভরে ওঠে। মেজাজ হ’য়ে যায় খিটখিটে।

২। সব সময় মন উত্তেজিত ও বিরক্ত থাকে।

৩। মানসিক দুর্বলতা প্রযুক্ত কাজকর্মে ইচ্ছা কমে যায়।

৪। স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা কমে আসে।

৫। পরনারীর প্রতি আকর্ষণজনিত চরিত্রদোষ ঘটতে পারে। পতিতারয় গমনও ঘটতে পারে।

৬। শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে-সব সময় শরীর ভার ভার বোধ হয়। আহার ও নিদ্রার প্রতিও আকর্ষণ কমে যায়।

৭। বায়ুর প্রাবল্য, চোখ মুখ জ্বালা করতে থাকে।

৮। মাথা ঘোরে ও গা বমি বমি করে।

৯। ধীরে ধীরে মৈথুনের প্রতি ঘৃণাও জন্মাতে পারে।

এখন কথা হচ্ছে কি করলে মৈথুন সফল করা যায়।

মৈথুন অ-সফল হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে-উপযুক্ত পুরুষ ও নারীর মিলনের অভাব।

অ-সফল মৈথুনের কারণ

এবারে অ-সফল মৈথুনের কতকগুলি প্রধান কারণের বিষয় লেখা হচ্ছে-এগুলিও মনে মনে চিন্তা ও বিচার করে নিতে হবে।

১। মৈথুনের আগে নারীকে উত্তেজিত না করা।

২। মৈথুনে যোগ্যভাবে নিজেকে তৈরী না করা।

৩। উপযুক্ত আসন না করে মৈথুনে লিপ্ত হওয়া।

৪। শক্তির অভাবে মৈথুন পূর্ণ হ’তে পারে না।

৫। অসুস্থ অবস্থায় মৈথুন্তএতে তত পূর্ণ আনন্দ হয় না। দৈহিক ক্ষতি করে।

৬। ঘন ঘন মৈথুন্তএটি অবশ্য পরিত্যজ্য। ইহা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

৭। অযোগ্য স্ত্রী-স্ত্রী উপযুক্ত না হলে পূর্ণ মৈথুন হয় না।

৮। অন্যান্য অসুবিধা বা মানসিক কারণ।

৯। স্বামী বা স্ত্রীর অন্য নারী বা পুরুষের প্রতি গোপন আসক্তি।

১০। প্রকৃত উত্তেজনা ছাড়া মৈথুন।

উত্তেজনার বিচার

এবারে প্রকৃত উত্তেজনা কি ও কি তার লক্ষণ সে বিষয়ে বলা হচ্ছে।

উত্তেজনা দুই প্রকার-(১) আসল (২) নকল বা বাহ্যিক।

যে যৌন উত্তেজনা সাধারণতঃ নর-নারীর মধ্যে দেখা যায় তা প্রায়ই নকল উত্তেজনা।

নকল কেন তার প্রমাণ করে দেওয়া হবে-আগে আসল উত্তেজনার লক্ষণ কি তাই বলা হচ্ছে।

নারী পুরুষকে বা পুরুষ নারীকে কাছে টেনে নিয়ে পরস্পর উত্তেজনা সৃষ্টির প্রয়াস পায় এবং তার ফলে যদি হৃদয়ে উত্তেজনা জাগে তা প্রকৃত উত্তেজনা নয়।

হৃদয়ে আপনা থেকেই ভাবভঙ্গীর মুখে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবার দুর্দমনীয় কামনা যদি জাগে তবে তা হলো আসল অর্থাৎ প্রকৃত উত্তেজনা।

প্রকৃত উত্তেজনা সম্বন্ধে বাৎস্যায়ন বলেছেন।-

যদি কোন নারীর স্মৃতি (চেহারা) বা ধ্যান ছাড়াও আপনা থেকেই হৃদয় উত্তেজিত হ’য়ে উঠে, তবে তা হরো প্রকৃত উত্তেজনা।

কিন্তু এ হলো সেই যুগের কথা-মানুষ যখন প্রকৃতির উপর নির্ভর করে চলতো। প্রকৃতির উপর নির্ভর করে সে নিজের মানসিক অবস্থা নিরূপণ করতো।

আজকাল যুগ পালটে গেছে।

নারী মূর্তি দর্শন আজকাল হামেশাই করতে হয়। হাটে-বাজারে চারপাশে নারীর নানা ভঙ্গির নানা ছবি নানা বিজ্ঞাপন। নারীর দেহ আর যৌবনের নানারূপ ভঙ্গিমার বিজ্ঞাপন দিয়েই আজকাল প্রচুর জিনিস বিক্রি হয়। সাইনবোর্ডেও নারীর নানারূপ প্রতিকৃতি দেখা যায়।

তবে আজকাল সেভাবে প্রকৃত উত্তেজনা বোজা সহজ কথা নয়।

প্রকৃত উত্তেজনা তাই আজকাল অন্যভাবে সি’র করা হ’য়ে থাকে।

অর্থাৎ যখন চিত্তবৃত্তি আপনা থেকেই নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং মনকে কিছুতেই আর সংযত করা যায় না, তখনই প্রকৃত উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং তাকেই প্রকৃত উত্তেজনা বলে।

এ কথা ঠিক যে প্রকৃত উত্তেজনা ছাড়া মৈথুন করা উচিত নয়। তেমনি প্রকৃত উত্তেজনা জাগলে তা দমন করা ঠিক নয়। তাতে দৈহিক ও মানসিন ক্ষতি হ’তে পারে।

প্রকৃত উত্তেজনার সময় ব্যতীত মৈথুন করলে তা মৈথুন হতে পারে না।

মৈথুনের শক্তির স্বল্পতা

মৈথুনে শক্তির স্বল্পতা আর শীঘ্র রেতঃপাত করলে একই কথা, কিন্তু দু’টির কারণ কিছুটা ভিন্ন।

শীঘ্র বীর্য্য পতন এক ধরনের রোগ। এ বিষয়ে আমরা এর পরে রোগের পরিচ্ছেদে বিশেষভাবে আলোচনা করব।

কিন্তু মৈথুন শক্তির স্বল্পতা একটা প্রধান জিনিজ। এটি দৈহিক ও মানসিক অবস্থার ওপর হ’য়ে থাকে। কারণঃ-

১। অধিক উত্তেজনা।

২। ঘন ঘন উত্তেজনা কিন্তু কম পরিমাণে।

৩। যখন উত্তেজনা আসে তখন স্ত্ররি সঙ্গে মৈথুন না করা।

৪। মৈথুনের সময় ভয়, লজ্জা ও কোন বাধা।

৫। বহুদিন বাদে মৈথুন করা।

৬। হস্তমৈথুন করা।

৭। দৈহিক অসুস্থতা।

৮। জন্মগত দুর্বলতা।

৯। যৌন ব্যাধি ইত্যাদি।

প্রতিকার-শীঘ্র পতন, যৌন ব্যাধি জন্মগত দুর্বলতা ইত্যাদি বিষয়ে এর পরে আলোচনা করা হয়েছে। প্রত্যেক রোগের কি ঔষধ তাও বলা হয়েছে।

নেশা সেবন

কোন প্রকার নেশা করা অবশ্যই অনুচিত বলে শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক লোক মৈথুন শক্তি বাড়াবার মত কিছু কিছু নেশা করে থাকেন। তবে নেশা যদি সামান্য হয় অর্থাৎ তাতে যদি ঠিক পুরা মাদকতা না আসে, অথচ যৌন ক্ষমতা যদি সামান্য বৃদ্ধি পায়, তবে তা নিশ্চয়ই উপকারী।

নেশায় যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়?

ঠিক তা নয়-নেশায় বীর্য্যকে কিছুটা শুকিয়ে গাঢ় করে দেয়, তাই কিছুটা বেশী সময় ধরে মৈথুন করা চলে।

শাস্ত্রের মতে মাদক দ্রব্য অল্প পরিমাণে অবশ্য ইন্দ্রিয় শক্তি ও দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ঔষধের সাথে ব্যবহার করা হয়।

যেমন- (১) এ্যালকোহল। (২) সিদ্ধি। (৩) আফিং ইত্যাদি

কিন্তু পরিমাণে তা ব্যবহৃত হয় খুব কম-ঠিক মাত্রা অনুযায়ী।

কিন্তু লজ্জাশালী রমণী স্বামীর এ প্রস্তাব প্রকারান্তরে প্রত্যাখ্যান করে। এতে স্বামী অবশেষে মনঃক্ষুন্ন হয় এবং বেশ্যালয়ে যাওয়া সুরু করে। পেটের দায়ে যারা এ বৃত্তিকে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিয়েছে, পয়সা রোজগারের জন্য যত নগ্ন ও গর্হিত কাজই হোক না কেন, এরা তা করে।

আর একটা কথা।

সাধালণ খাদ্য পানীয় দ্বারা যতটা সম্ভব ততটা যৌন ক্ষমতা আগে বাড়াবার চেষ্টা করা উচিত। তারপর অবশ্য ঔষধ। ঔষধের চেয়ে বেশী মাত্রায় নেশা ভাল নয়।

যৌন ইন্দ্রয়ের অক্ষমতা

যৌন ইন্দ্রয়ের অক্ষমতা হলো সকল মৈথুনের আর একটা প্রধান অন্তরায়।

মৈথুন শক্তির অক্ষমতা আর যৌন অক্ষমতার কারণ কিন্তু ঠিক এক নয়। মৈথুন শক্তির অক্ষমতা সক্ষম ইন্দ্রিয় শক্তি থাকলেও হতে পারে।

কিন্তু অনেকের ইন্দ্রিয় আবার ঠিক তার মত দৃঢ় হয় না। আর ইন্দ্রিয় দৃঢ় না হলে মৈথুন ক্ষমতা স্বাভাবিক হয় না।

এর প্রকৃত কারণ কি?

এ বিষয়ে নানা আলোচনা আগে করা হয়েছে। এখনও করা হবে।

ইন্দ্রিয় উত্তেজিত না হবার কারণ হলো অবশ্য শারীরিক দুর্বলতা। কিন্তু তা আসে কেন?

(১) অমিতাচার।

(২) জন্মগত অক্ষমতা।

(৩) যৌন ক্ষমতার অভাব।

(৪) হস্তমৈথুন অভ্যাস ইত্যাদি।

যাই হোক যৌন ইন্দ্রিয়ের অক্ষমতা উপযুক্ত চিকিৎসক দ্বারা অবশ্যই চিকিৎসা করান দরকার।

তা না হলে যৌন ইন্দ্রিয়ের ক্রমশঃ আরও মারাত্নক হ’য়ে অন্য রোগের সূচনা করতে পারে।

অযোগ্য স্ত্রী

 স্ত্রী, মৈথুনে অযোগ্য হয় কেমন করে?

এর উত্তর হলো-মৈথুনের উপযুক্ত ভাবে সহায়ক না হলে সেই স্ত্রীকে অযোগ্য বলা হয়।

স্ত্রী অযোগ্য কি করে হতে পারে।

১। মৈথুনে অনাসক্তি।

২। উপযুক্ত শ্রেণী হিসাবে মিল না হবার জন্য মৈথুনে অক্ষমতা। যেমন বৃষ বা অশ্ব জাতীয় পুরুষের সাথে পদ্মিনী জাতীয় স্ত্রীর।

৩। দৈহিক গঠনের জন্য মৈথুনে অতৃপ্তি।

৪। লজ্জা ও ভয় ইত্যাদি কারণে স্বামীর সঙ্গে মৈথুনে লিপ্ত না হতে ইচ্ছা।

৫। হৃদয়ে প্রেমের অভাব।

৬। গোপন প্রণয়ী-স্বামীর প্রতি আসক্তি বা প্রেমের অভাব।

এর জন্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মানসিক হলে তার জন্যে স্ত্রীকে ভালোবেসে তার হৃদয় জয় করতে হবে।

দৈহিক হলে, চিকিৎসার প্রয়োজন। নারী পুরুষ উভয়েই সমশ্রেণীর না হলে মৈথুনকালীন বিবিধ অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এই অসুবিধাই হলো অ-সফল মৈথুন।

মৈথুনে অন্যান্য অসুবিধা

  সফল মৈথুনের অন্যান্য অসুবিধা হলো-

(১) আর্থিক অস্বচ্ছলতা।

(২) যোগ্য স্থানের অভাব।

(৩) খাদাদির অভাব ও দৈহিক দুর্বলতা ইত্যাদি।

একথা অবশ্যই ঠিক যে সুবিধাজনক সময়, স্থান, খাদ্যদির অভাব হলে, মৈথুন, সফল হ’তে পারে না। কোন গরীব বা অভাবী লোক আগে খাদ্যের যোগাড় করবে তারপর মৈথুন।

এখানে আর একটি প্রয়োজনীয় কথা হলো-প্রাচীন শাস্ত্র কারক বলেছেন যে, সফল মৈথুন নর-নারীর আনন্দ প্রাপ্তির উৎস তা ঠিক।

সফল মৈথুন না হলে, হৃদয়ে পূর্ণ আনন্দ প্রাপ্তি না হলে উপযুক্ত সন্তান হয় না। অ-সফল মৈথুনে যে সন্তান হয়, তা জাতির প্রতিবন্ধক স্বরূপ। সফল মৈথুনই প্রকৃত সন্তানের জন্ম দেয়।

অবশেষে একটি প্রধান কথা হলো-মৈথুন যক কম হয় তত ভালো। তাতে রতিশক্তি বৃদ্ধি পায় ওসকল মৈথুনের জন্যে দেহমনকে শক্তি সঞ্চয়ী করে তোলে।

লিঙ্গের আকার কি পরিবর্তন করা যায়? আকাঙ্খা-বাস্তবতা-করনীয়।


লিঙ্গের আকার কি পরিবর্তন করা যায়? আকাঙ্খা-বাস্তবতা-করনীয়।


যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় – “আপনি কি আপনার লিঙ্গ লম্বা করতে চান?” প্রায় সবাই উত্তরে বলবে “অবশ্যই চাই!”
যাই হোক, প্রায় একশত বছরের বেশি সময় ধরে এর জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা অথবা চেষ্টা করেও লিঙ্গের আকার পরিবর্তনে তেমন একটা ভাল ফলাফল/আবিষ্কার আসেলেই হয়নি। তবে এটা সত্যযে – বিভিন্ন খাবার বড়ি, ক্রিম, ব্যায়াম, লকিং মেশিন এবং অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে এখন মানুষ তার লিঙ্গের আকার পরিবর্তনের চেষ্ট করে থাকে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাদের কোনটিই হয়তো কার্যকর হয়না। বরং এ রকম চেষ্টার ফলে অনেক পুরুষ লিঙ্গত্থান সমস্যা সহ নানবিধ যৌন জটিলতায় পতিত হন।
ডক্টর মাইকেল ও’লেয়ারী (প্রফেস্যার, হাবর্ড মেডিক্যাল স্কুল। ইউরোলজিষ্ট, ব্রিগহাম এন্ড ওমেন্স হসপিটাল ইন বোষ্টন) বলেন, “বিশ্বাস করুন, আমি যদি জানতাম কি করে নিরাপদে এবং সত্যিকারেই লিঙ্গের আকার বড় করা যায় – তাহলে আমি তা প্রেসক্রাইব করে কোটিপতি হয়ে যেতাম। কিন্তু আমি এটা জানিনা – এমনকি এখনো এ রকম কোন পদ্ধতি আবিষ্কার-ই হয়নি!”। এরকম আরো কিছু সত্যি কথা জানুন Link লিঙ্ক থেকে।

কত ছোট কে ছোট বলেবেন?

প্রায় অর্ধেক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ মনে করেন তাদের পুরষাঙ্গ অনেক ছোট। বিশ্বজুড়ে সাধারনত উত্তেজিত লিঙ্গের গড় আকার ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি। তবে লিঙ্গের আকার ব্যাক্তি এবং অঞ্চলভেদে অনেক পাথ্যর্ক দেখা যায়। আমাদের দেশ তথা দক্ষিন এশিয়ার পুরুষের জন্য সর্বচ্চো ৬ ইঞ্চি একটি ভাল আকার। বিরল ক্ষেত্রে পারিবারিক (জেনেটিক) এবং হরমোন জনিত সমস্যার কারনে ৩ ইঞ্চির চেয়েও অনেক ছোট লিঙ্গ দেখা যায়। ঔষধ শাস্ত্রে এটি মাইক্রোপেনিস নামে পরিচিত। তবে অনেকের ক্ষেত্রে প্রোষ্টেইট ক্যান্সার অপারেশান সহ নানা রোগের কারনে লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যেতে পারে।

ভুল ধারনা সমুহঃ

– আমাদের মাঝে অনেকেরই একটি ভুল ধারনা আছে যে-অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে লিঙ্গের আকার ছোট হয়ে যায়। এটা মোটেও সত্য নয়। আসলে লিঙ্গ প্রাকিৃতিক ভাবে ছোট বা বড় হয়ে যেতে পারেনা। এটি শুধু উত্তেজনার সময় পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে আকার পরিবর্তন করে।
– অনেক পুরুষ কিংবা নারী পর্ন ফিল্ম দেখে লিঙ্গের আকার এবং মিলেনের সময় নিয়ে নিজের মধ্যে একপ্রকার নেগেটিভ ধারনা করে রাখে। সত্যিকার অর্থে ছবিতে নায়ক তারাই হয় যারা অন্যদের তুলনায় হ্যান্ডসাম হয়। পর্নষ্টারও তার ব্যতিক্রম নয়। পর্নগ্রাফিতে ক্যামেরা এমন এঙ্গেল এ ধরা হয় যাতে ভিজ্যুয়ালী লিঙ্গকে বড় দেখা যায়।
উদাহরন স্বরুপ আপনি যদি কোন একটি উচু স্থানে থেকে নিচে দাড়ানো আপনার কোন বন্ধুর ছবি তোলেন তাহলে তাকে খাটো দেখাবে। তেমনি যদি আপিনি মাটিতে বসে কিছুটা উপরে দাড়ানে অবস্থায় আপনার বন্ধুর ছবি তোলেন তাহলে একই ব্যাক্তিকে অনেক লম্বা দেখাবে। আর সে জন্যই আমরা যখন মাথা নিচু করে আমাদের নিজের লিঙ্গ দেখতে যাই তখন ভিজ্যুয়াল ইল্যুশানের কারনে আমাদের লিঙ্গের আকার প্রকৃত আকারের চেয়ে ছোট দেখা যায়।
এখানে এ বিষয়টি বলে রাখতে চাই – পর্ন ফিল্মে আমরা দেখি একই যুগল ২০/২৫ মিনিট মিলন করছেন। সত্যিকার অর্থে তাদের এই ২০ মিনিট এর মিলন দৃশ্যের শুটিং হয়েছে ২/৩ দিন ধরে। তাদের অনেকবারের মিলনের দৃষ্টিনন্দন অংশগুলো ভিডিও এ্যাডিটে কাট-ছাট করে একটি ক্লিপ বাজারে আসে। তাই পর্ন ফিল্ম দেখে আকার এবং মিলনের সময় নিয়ে আমাদের হতাশ হবার অবকাশ নেই।
 যৌন তৃপ্তির জন্য আকার মুল বিষয় নয়। প্রধান বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে মিলনে এবং সিঙারে আপনার কারুময়তা। আপনি যত বেশি সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে নারীকে “অন” করবেন সে তত বেশি আপনার পার্সোনলিটির প্রতি আবেগী হবে।
নারীর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপুর্ন বিষয় হল – মিলনকালে পেনিট্রেশান (যোনীতে লিঙ্গ প্রবেশ করানো) থেকে সর্ব আনন্দ নিতে হবে তা নয় (শুধু পেনিট্রেশানে কোন পুরুষই নারীকে তৃপ্ত করতে পরেনা) বরং সিঙার (ফোর প্লে) বস্ত্র হরন সহ সকল বিষরের সংমিশ্রনে যৌন মিলনেরে যে প্যাকেজ তা থেকে পরিপুর্ন তৃপ্তি অর্জন সম্ভব। এর জন্য আপনার সঙ্গীর ভাললাগা, তার শরীরের কোন অংশ অতি সংবেদনশীল তা আবিষ্কার করা, যৌন আসনের পরিবর্তন করে যে আসন সর্বচ্চো
কার্যকর তা জানার পর যে কোন যুগল সহজে তাদের শাররীক কাম আগুন নিভাতে সক্ষম হবেন। তাই সম্পর্ক যত পুরোনো – পুর্নতৃপ্তির পরিমানও বেশি হয়। শাররীক মিলন একটি শিল্প – এটা রপ্ত করুন। আপনার নিজের জন্য এবং আপনার সঙ্গীর জন্য।

কিছু পদ্ধতি এবং তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ

শরীরের মেদ কমানোঃ “অনেক পুরুষ যারা ভাবে তাদের পুরুষাঙ্গ স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট – তাদের মেদ সমস্যা আছে” – জেনিফার বর্মন, এমডি, ইউরোলজিষ্ট।
পুরুষের মেদ বাড়ার সাথে সাথে শরীরের ওজন কমালে তলপেটে লুকিয়ে থাকা আপনার লিঙ্গ কিছুটা বড় দেখাবে তবে এটি আপনার লিঙ্গের প্রাকৃতিক আকারকে পরিবর্তন করবে না।

পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭টি সহজলভ্য খাবার

পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭টি সহজলভ্য খাবার


জীবনে নানান বিষয়ে অক্ষমতা বা দুর্বলতা থাকতেই পারে। কিন্তু যৌন দুর্বলতা হচ্ছে এমন একটি বিষয়, যা পুরুষের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক এবং অপমানজনকও বটে। যৌন দুর্বলতার জন্য আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন কোন পুরুষ, এমন ঘটনার নজিরও কম নেই। বর্তমান যুগের স্ট্রেসে ভরা জীবনযাপন পদ্ধতি, ভেজাল খাদ্য সহ নানান ধরণের কারণে শারীরিক অক্ষমতায় ভোগা পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ। যদিও এই বিষয়টি থেকে মুক্তি দিতে পারে সঠিক খাদ্য, সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি।

১) চীনাবাদাম

খুবই সহজলভ্য একটি খাবার হচ্ছে এই চীনাবাদাম, কিন্তু পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। এই বাদাম খুব ভালো প্রাকৃতিক উৎস amino acid ও L-arginine এর, যারা পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয়। Dr. Nicholas Perricone এর মতে, L-arginine পুরুষাঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে যা যৌন মিলনের সময় পুরুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন এক মুঠো চীনাবাদাম হতে পারে পুরুষের পরম বন্ধু।

২) রসুন

রসুনে আছে allicin, যা যৌনাঙ্গে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। সঠিক রক্ত চলাচল পুরুষাঙ্গের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে দ্রুত বীর্যপতন প্রতিরোধ করে। রান্নায় তো বটেই, নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস হার্টের অসুখের পাশাপাশি যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক।

৩) ডুমুর

এই ফলটিকে পরম অবহেলার চোখে দেখা হলেও ডুমুরের গুণের শেষ নেই। ডুমুরে আছে উচ্চ মাত্রায় amino acids যা সকল হরমোনের ভিত্তি রূপে কাজ করে। দেহে amino acids এর অভাব হলে যৌন দুর্বলতা ও যৌনতায় অনাগ্রহ দেখা দিতে পারে।

৪) কলা

অত্যন্ত সহজলভ্য ফল এই কলা অসংখ্য গুণের আধার। হ্যাঁ, পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অত্যন্ত সহায়ক। কলা দেহে প্রচুর এনার্জি যোগায়। এতে আছে একটি বিশেষ এনজাইম bromelain, যা পুরুষের যৌন দুর্বলতা রোধ করতে সহায়ক। আছে প্রচুর ভিটামিন বি, যা যৌনতার সময় ভরপুর এনার্জি যোগায়।

৫) চিনি ছাড়া চকলেট

যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চকলেট সহায়ক প্রমাণিত হয়েছে, কারণ এতে আছে phenylethylamine ও alkaloid । Phenylethylamine যৌন মিলনের সময় সুখানুভূতি যোগায়, অন্যদিকে alkaloid এনার্জি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে যা সঠিক ও আনন্দময় যৌনমিলনের জন্য জরুরী। তবে চিনি সহ মিল্ক চকলেট নয়, ডার্ক চকলেট হতে হবে। আর আজকাল ডার্ক চকলেট বেশ সস্তা। ক্যাডবেরী কোম্পানির স্বল্প চিনির ডার্ক চকলেট কিনতে পারবেন বেশ অল্প দামেই।

৬) শাকসবজি ও ফলমূল

শাকসবজি-ফলমূল উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এ কথা আমরা সবাই জানি। দেহের রক্ত সচালল বৃদ্ধি করতে, এনার্জি ধরে রাখতে ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী থাকতে প্রয়োজনীয় সকল উপাদান আছে সাধারণ শাকসবজি ও ফলমূলে।। নানান রঙের শাকসবজি প্রতিদিন রাখতে হবে খাবারের তালিকায়। কাঁচা সবজির সালাদটাই সবচাইতে বেশি উপকারী। নানান রকমের সবুজ শাক থেকে শুরু করে টমেটো, কুমড়া সহ নানান রকমের মৌসুমি ফল ও সবজি খাবেন প্রতিদিন।

৭) কুমড়ার বীজ


ছেলেবেলায় কুমড়ার বীজ ভাজা খেয়েছেন কখনো? এই অবহেলিত খাবারটি কিন্তু পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকর। কুমড়ার বীজে আছে উচ্চমাত্রায় জিঙ্ক, antioxidants selenium ও ভিটামিন ই। এই উপাদানগুলো দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ও যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

যৌনজীবনে পুরুষের একান্ত দুর্বলতা- লক্ষণ, কারণ ও কী করবেন

যৌনজীবনে পুরুষের একান্ত দুর্বলতা- লক্ষণ, কারণ ও কী করবেন


পুরুষত্বহীনতা, অর্থাৎ পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতা আজকাল প্রকট আকার ধারণ করছে। একদম তরুণ থেকে শুরু করে যে কোন বয়সী পুরুষের মাঝে দেখা যাচ্ছে এমন যৌন সমস্যা। অনেক পুরুষ অকালেই হারিয়ে ফেলছেন নিজের সক্ষমতা, উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে দাম্পত্যে অশান্তি, সন্তানহীনতার হার। এবং সত্যি বলতে কি বাড়ছে ডিভোর্সও।
কিন্তু কারণ কি পুরুষদের এই ক্রমশ শারীরিকভাবে সক্ষম বা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পেছনে? কারণ লুকিয়ে আছে আমাদের বর্তমানের আধুনিক জীবনযাত্রার মাঝেই। হ্যাঁ, আপনার প্রতিদিনের স্ট্রেসভরা অস্বাস্থ্যকর জীবন, আপনার নিজের কোন একটা ভুলই হয়তো আপনাকে ক্রমশ ঠেলে দিচ্ছে পুরুষত্বহীনতার দিকে। কেন এমন হচ্ছে সেটা জানার আগে জানতে হবে পুরুষের একান্ত দুর্বলতাগুলো কী কী বা কেমন হতে পারে।
শারীরিক অক্ষমতা বা দুর্বলতার বিষয়টিকে মোটামুটি ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে-
  • ইরেকশন ফেইলিউর : পুরুষ লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা।
  • পেনিট্রেশন ফেইলিউর : লিঙ্গের যোনিদ্বার ছেদনে ব্যর্থতা, বা যোনিতে প্রবেশের মত পর্যাপ্ত উথিত না হওয়া
  • প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশন : সহবাসে দ্রুত বীর্য-স্খলন, তথা স্থায়িত্বের অভাব।

থাকতে পারে অনেকগুলো কারণ

প্রাকৃতিক বা শারীরিক কারণগুলোর মাঝে মুখ্য হলো- ডায়াবেটিস, লিঙ্গে জন্মগত কোন ত্রুটি, সেক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, গনোরিয়া বাসিফিলিসের মত যৌনরোগ ইত্যাদি। প্রাকৃতিক শারীরিক সমস্যা ছাড়াও প্রচণ্ড কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি, দূষিত পরিবেশ, ভেজাল খাওয়া দাওয়া, কম বিশ্রাম ও ব্যায়াম ছাড়া অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ইত্যাদি অনেক কারণই আছে ক্রমশ যৌন সক্ষমতা হারিয়ে ফেলার পেছনে। আবার অতিরিক্ত যৌন সম্পর্কে যাওয়া, অতিরিক্ত মাস্টারবেট বা হস্তমৈথুন করা, যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাবিজাবি ওষুধ সেবন ইত্যাদি কারণকে অবহেলা করলেও চলবে না। এছাড়া বয়স জনিত অসুস্থতা, সঙ্গিনীর সাথে বয়সের পার্থক্য বা সঙ্গিনীকে পছন্দ না করা, এইডসভীতি, পর্যাপ্ত যৌন জ্ঞানের অভাব, ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসনও অক্ষমতা বা দুর্বলতার জন্য দায়ী হতে পারে।

কী করবেন?

  • -প্রথমেই যা করবেন, সেটা হলো একজন ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। লজ্জা না করে নিজের সমস্ত সমস্যা খুলে বলুন ও ডাক্তারের পরামর্শ মত প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা নিন। এতে লজ্জার কিছুই নেই। একটাই জীবন। লিজ্জার চাইতে নিজেকে সুস্থ ও সক্ষম রাখা জরুরী।
  • – আপনার ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় সকল নিয়ম কানুন মেনে চলুন।
  • -নিজের জীবনধারাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনে বদলে ফেলুন। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খান, ব্যায়াম করুন, রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান, চেষ্টা করে কাজের চাপের মাঝেও বিশ্রাম নিতে। আপনার শরীর যখন সুস্থ ও সক্ষম থাকবে, যৌনজীবনও থাকবে সুন্দর।
  • -সঙ্গীর সাথে রোমান্টিক জীবনের উন্নতি করুন। এক ঘেয়ে যৌন জীবনে নানান রকমের চমক ও আনন্দ নিয়ে আসুন। তাঁকেও বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে নতুন চমক এলে আপনার মানসিকভাবে সাহায্য হবে। রোমান্টিক বেডরুম, আকর্ষণীয় অন্তর্বাস, সেক্স টয় ইত্যাদি এসব ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
  • -যদি সঙ্গীকে অপছন্দ করার কারণে সমস্যা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সঙ্গীকে ভালবাসতে। তার সাথে দূরে কোথাও নিরিবিলি বেড়াতে যান, তাঁকে গভীর ভাবে জানার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে তার প্রেমে পড়ার চেষ্টা করুন। মানসিকভাবে প্রেমে পরলে শরীরটাও সাড়া দেবে। একটা জিনিষ মনে রাখবেন, বাস্তবের নারীর সাথে সিনেমার নায়িকা বা পর্ণ স্টারদের মিল খুঁজতে যাবেন না। নিজের দিকে তাকান, নিজের সাধারণত্ব দেখুন। দেখবেন, সঙ্গীকেও আর খারাপ লাগছে না।

কী করবেন না?

  • -অতিরিক্ত মাস্টারবেট করার অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন। মাঝে মাঝে মাস্টারবেট অবিবাহিত পুরুষদের জন্য খারাপ কিছু নয়, তবে সেটা মাঝে মাঝেই ভালো। আর যাদের স্ত্রী আছে তাঁরা স্ত্রীর সাথেই যৌনজীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন।
  • -যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য হাতুড়ে ডাক্তারদের শরণাপন্ন হবেন না বা কোন টোটকা ব্যবহার করবেন না। কোন তেল বা ওষুধ কিছুই ব্যবহার করবেন না হাতুড়েদের কথায় প্রভাবিত হয়ে।
  • -বাজারে সাময়িকভাবে যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর কিছু ওষুধ পাওয়া যায়, যেগুলো সেবনে ২৪ ঘণ্টার জন্য যৌন ক্ষমতা বাড়ে। এইধরনের ওষুধ মোটেও ব্যবহার করবেন না। এতে সাময়িক ক্ষমতা বাড়লেও, ক্রমশ আসলে ক্ষমতা কমতেই থাকবে।

বিবাহিত জীবনে প্রথমবার মিলনে যে সব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন

বিবাহিত জীবনে প্রথমবার মিলনে যে সব বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন


প্রেমের বিয়ে কিংবা বাবা-মায়ের ঠিক করা মেয়ের সাথে বিয়ে – অবস্থা যাই হোকনা কেন প্রথমদিকে যেকোনো মেয়ে লজ্জায় আড়ষ্ট থাকেবেই। বিশেষ করে পরিবারের ঠিক করা বিয়েতে অপরিচিত একজন পুরুষের সাথে একত্র বসবাস কেউ কি অতি সহজে নিতে পারবে? প্রথমবার শাররীক মিলনে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
আপনি হয়তো দ্বিতীয় কিংবা পরের বারের মিলনগুলো খেয়াল রাখবেন না – কিন্তু প্রথম মিলন সব যুগলেরই মনে থেকে যায়। প্রথম মিলন আশ্চর্য্যজনক ভালো কিংবা ফ্লপ যাই হোক স্বামী-স্ত্রী প্রথম মিলনকে ট্রেজেডি হিসেবেই মনে রাখে।
সঠিক সংকেতের জন্য অপেক্ষা করুনঃ প্রথম মিলন সর্বনাশা হতে পারে যদি মানসিক প্রস্তুতির সংকেত দেয়া-নেয়ায় ভুল বুঝাবুঝি থাকে। যেহেতু আপনারা দুইজনেই সারা জীবনের জন্য বিবাহের মাধ্যমে একটি সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাই বাসররাতে কথা বলা কিংবা ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্কের স্বাভাবিকতা এবং পরষ্পরের মানসিক দুরত্ব কমিয়ে আনুন।
দুজন-দুজনের চিন্তা চেতনার একটি স্বরুপ জেনে নিন। তাড়াহুড়ো করবেন না। আমাদের দেশে “বাসর রাতে বিড়াল মারা” বলে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। পুরুষ অনেকটা মরিয়া হয়ে যান নিজেকে বাঘ বলে জাহির করতে। কিন্তু বিড়াল মারার সুত্রটা আসলে আমাদের একপ্রকার ভুল ধারনার জন্ম দিচ্ছে। অনেক মেয়ে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকেনা – সেই অবস্থায় যদি স্বামী বিড়াল মারতে যায় তাহলে বিষয়টি রেপ করার মত হয়ে যায়।
ভারতের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বাসররাতে স্বামী-স্ত্রী শাররীক মিলন না করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে আপনি কিভাবে আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে স্বাভাবিক হবেন তা আপনার বিবেচনায় রাখবেন আগে থেকে।
জন্মনিরোধকের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখুনঃ প্রথমবারের শাররীক মিলনে বিবাহিত যুগলের জন্মনিরোধক ব্যবহার দুজনের জন্য সমানভাবে মঙ্গলজনক। হয়তো কনডম কিংবা খাবার বড়ি ব্যবহার না করার ফলে আপনাদের “যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ” কিংবা “গর্ভধারনের” ভয়ে মিলনের আসল আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে।
প্রথমদিন যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ থেকে রক্ষা পাবার জন্য কনডম ব্যবহারই সবছে ভাল – যদিও এটি ১০০% আত্মরক্ষা মুলক নয়। তাছাড়া আপনার স্ত্রী হয়তো মা হবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত নয়। তাই বিয়ের পর পরষ্পরের শাররীক সমস্যার (যদি থাকে) ইতিহাস জেনে এবং সন্তান নেয়ায় দুই জনের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী নিয়ন্ত্রনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
কোন ভাবেই স্বয়ং-সম্পুর্ন মিলনের প্রত্যাশা করবেন নাঃ ৮০% থেকে ৯০% ক্ষেত্রে প্রথম মিলনে যুগলের বিন্দুমাত্রও সফলতা থাকেনা। শাররীক মিলন যতটা না শরীরের; তার চেয়ে বেশি মানসিক মিলন। একজন মানুষ যখন অন্য মানুষের শরীর / ভাললাগার বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুর্নমাত্রায় জানে – তখনি শুধু সুখকর যৌনমিলন সম্ভব। প্রথম মিলনে পরষ্পরের ভাললাগার অনুভুতিগুলোর সংমিশ্রন হয়না।
তাছাড়া প্রথম মিলন সম্পর্কে পুরুষ/নারী এত বেশি দুশ্চিন্তা অথবা পুর্বপরিকল্পনা করে যে সে মূল কাজে এসে নার্ভাস হয়ে যায়। আর পরিকল্পনা অবস্থা/ব্যক্তি বেধে পার্থক্য হয় – তাই আগ থেকে করা প্ল্যান কার্যকর করা নাও যেতে পারে। তাই সময়ের সাথে চলুন। অন্তরঙ্গ মুহুর্তে অর্জিত ভাললাগাগুলো উপভোগ করুন। প্রথম রাতে আপনার প্রিয়জনের শরীর সম্পর্কে জানার চেয়ে বড় রোমাঞ্চকর আর কি হতে পারে। সম্পর্কে সময় দিন – পরষ্পরের শরীর সম্পর্কে যত জানবেন মিলন তত বেশি উপভোগ্য হবে।
গভীর নিঃশ্বাস নিনঃ প্রথমবারের মত কারো সাথে শাররীক মিলন করতে গেলে চিন্তিত এবং অস্বত্বিতে পড়তে পারেন। আপনার শরীর এবং মনকে প্রশান্ত করার জন্য বড় করে নিঃশ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন। ঠিকঠাক কাজ করার জন্য আপনার মস্তিস্কের প্রয়োজনীয় মাত্রায় অক্সিজেন দরকার। মানসিক চাপে ঠিকমত শ্বাস-প্রশ্বাস না নিলে অনেকগুলো সমস্যা যেমন মাথাধরা, মাথাব্যথা সহ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারেন।
এটি খুবই লজ্জাজনক হবে যদি আপনি সামান্যতম যৌনমিলনও করতে না পারেন। স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিন – মনকে চিন্তামুক্ত রাখুন। প্রথম মিলেনে বিড়াল মারার আইডিয়া বাদ দিন। স্বাভাবিক আচরন করুন – আপনি আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে আছেন – যার সাথে আপনার সারাজীবন সামনে পড়ে আছে। প্রথম রাতকে স্বরনীয় করে রাখতে বিড়াল না মারলেও সমস্যা নেই। তাকে ভরসা দিন আপনি তার জন্য কতটা।
কোনভাবেই পুর্ন-যৌন-তৃপ্তির মিথ্যে ভান করবেন নাঃ পুর্ন-যৌন-তৃপ্তির মিথ্যে ভান করা আপনার নিজের সাথে এবং আপনার সঙ্গীর সাথে প্রতারণা করার শামিল। এটি হয়তো পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, কারন বস্তুত আপনি ভুল তথ্য আদান-প্রদান করেছেন “আপনার শরীর কি চায় এবং কিসে আপনাকে যৌন ক্ষুদার্ত করে তোলে?”

পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭টি সহজলভ্য খাবার

পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ৭টি সহজলভ্য খাবার


দীর্ঘক্ষণ যৌনতা ধরে রাখাটা অনেক পুরুষের জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়৷ এতেকরে পুরো সংসার জীবন হতে পারে সমস্যা বহুল৷  কিন্তু বেশ কিছু পদক্ষেপ রয়েছে যা আপনাকে এইসমস্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে৷ সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে ও পরে কিছু নিয়ম আপনাকে করে তুলতে পারে প্রিয় মানুষের কাছে আরও আকর্ষণীয়৷

যৌন মিলনের আগে:

সহবাস করার আগে শান্ত করতে হবে মন৷ মনে কোন ঋনাত্মক ভাবনা আনলে চলবে না৷ স্বল্পস্থায়ী যৌনতার একমাত্র কারণ হল শারীরিক ও মানসিক অস্থিরতা৷

নিজেকে শারীরিক মিলেনর জন্য মানসিক ও শারীরিক ভাবে তৈরি করুন৷মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমিয়ে আনুন৷ প্রয়োজনে সুস্থ ও স্বাভাবিক নিয়মে হস্তমৈথুন করতে পারেন৷

যদি সম্ভব হয় তবে নিয়মিত যৌনসঙ্গী খুঁজুন৷ যে আপনার শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি সরল করতে সাহায্য করবে৷ অথবা নিজের সঙ্গীকেও নিজের অসুবিধার কথা জানান৷ তবে নিয়মিত যৌনসঙ্গী বদল করে আপনি তার সঙ্গে খোলামেলা ভাবে আলোচনা করতে ব্যর্থ হবেন৷

কন্ডোম ব্যবহার করুন৷ বেশির পুরুষের অভিযোগ কন্ডোম ব্যবহারের ফলে তাদের যৌন আকাঙ্খা হ্রাস হচ্ছে৷ তবে এটি মনের ভুল ছাড়া আর কিছুই নয়৷
মদ, তামাক ও অন্যান্য ওষুধের অতিরিক্ত সেবন দীর্ঘস্থায়ী যৌনতার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে৷


যৌনমিলনের সময়:

যৌনমিলনের আগে কোন মতেই ফোর প্লে বাদ দেবেন না৷

অবস্থানে পরিবর্তন করুন৷ নতুন কিছু আপনার মনোযোগকে আরও রোমাঞ্চিত করে তুলতে পারে৷ সঙ্গীর চাহিদার দিকেও নজর দিন৷
সহবাসের সময় সঙ্গীর আধিপত্যে লজ্জাবোধ করার কোন কারণ নেই৷

ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিলে পরিশ্রম কম অনুভব হবে ফলে শরীর দীর্ঘক্ষণ যৌনমূলনের উপযুক্ত থাকবে৷

প্রথম ডেটিংয়েই প্রেমিকাকে বা নারীকে বশ করার যত উপায় ও কলাকৌশল

প্রথম ডেটিংয়েই প্রেমিকাকে / নারীকে বশ করার  যত উপায় ও কলাকৌশল

বেশিরভাগ নারীরাই  সাধারণত আত্মনির্ভরশীল ও ব্যক্তিত্ববান এবং রোমান্টিক পুরুষদের ভালোবেসে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক পুরুষদের  কি কি গুন থাকলে নারীর মন জয় করে নেয়া যায়।

প্রথম ডেটিংয়েই প্রেমিকাকে নারীকে বশ করার যত উপায় ও কলাকৌশল


রসবোধ এবং বুদ্ধিমত্তা থাকা
সাধারণত  মেয়েরা একটু রসিক প্রিয় ছেলেদেরকেই বেশি ভালোবাসে। যারা যে কোনো বিষয়য়ে সাবলীল রসালাপ করতে পারদর্শী এমন ছেলেদের প্রতিই  মেয়েরা বেশি আকর্ষনবোধ করে। বুদ্ধিমান ছেলেরাই নারীদেরকে অনেক বেশি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।আপনি যদি সঙ্গিনীকে ইমপ্রেস করতে গিয়ে সবকিছু গুলিয়ে ফেলেন এবং আবলতাবল কর্ম কাণ্ড করে বসেন তাহলে সে সম্পর্ক শুরুর করার আগেই শেষ হয়ে যাবে। তাই একটু সময় নিন এবং ভাবুন কিভাবে তাকে আপনার মনের কথাগুলো গুছিয়ে সহজ ভাবে বলবেন। শুধুমাত্র  রোমান্টিক হলেই চলবে না। রোমান্টিক পরিস্থিতি তৈরি করার কয়েকটা মুখ্য ব্যাপার সম্পর্কেও জানতে হবে। তাই আগে থেকেই কিছু পরিকল্পনা করুন।


আত্মবিশ্বাসী হওয়া
আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা সবসময় মেয়েদের আকর্ষণের কেন্দ্রেস্থলে অবস্থান করে। দ্বিধাগ্রস্ত ছেলেদের প্রতি কখনই মেয়েরা আকৃষ্ট হয় না। একজন পুরুষ যতই সুন্দর আর রূপবান হোক, যদি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস না থাকে তাহলে তার প্রতি কোনো মেয়েই  নির্ভর করবেনা এবং ভালোও বাসবেনা।


শারীরিক দিক দিয়ে উচ্চতা ও দৈহিক গড়ন হওয়া
বিভিন্ন জরিপে দেখা গিয়েছে যে বেশিরভাগ নারীরাই অধিক উচ্চতার পুরুষদেরকে বেশি পছন্দ করে।  আপনার চেহারার ও সৌন্দর্যের চেয়ে মেয়েরা আপনার উচ্চতা ও বলিষ্ঠ গড়নকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।


আত্মনির্ভরশীল এবং স্বাবলম্বী হওয়া
বেশিরভাগ নারীদের পছন্দ আত্মনির্ভরশীল পুরুষর।যারা নিজেদের উপার্জনে দিয়ে চলে সেই পুরুষদেরকেই  নারীরা বেশি পছন্দ করে। যারা বাবার উপার্জন দিয়ে দিনযাপন করে সেই ছেলেদের খুব বেশি পছন্দ করেনা বেশির ভাগ নারীরা। আবার যারা সম্মানিত পদবীতে চাকরী করে তাদেরকেও পছন্দের তালিকায় রেখে থাকেন নারীরা।


পুরুষালী আচরণ
নারী সবসময় নিজের সঙ্গীর কাছ থেকে নির্ভরতা ও নিরাপত্তা খুঁজে থাকে। যেসব পুরুষ তাদেরকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম, নারীরদের চোখে তারাই হচ্ছে পুরুষালী আচরণের অধিকারী পুরুষ। আর এ ধরনের পুরুষদের প্রতি নারীর আকর্ষণ থাকে সর্বাধিক।


রিকশায় নিয়ে বেড়াতে যাওয়া
আপনি আপনার সঙ্গীকে রিকশায় অথবা গাড়িতে করে এখানে সেখানে ঘুরতে যেতে পারেন। আপনার সঙ্গিনী যদি এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চারকে বেশি ভালোবাসে, তাহলে প্রথম ডেটিংয়েই ইমপ্রেস করা অনেকটাই  সহজ হয়ে যাবে।


গেইম খেলা
নিজেদের মাঝে গল্প জমিয়ে তুলতে চাইলে ইনডোর গেইম খুব ভালো একটি উপায়। আপনারা লুডো, সাপ-মইয়ের খেলা এবং দাবা এইসব ধরনের মজার মজার ইনডোর গেইম খেলতে পারেন।


বই ও লাইব্রেরি
যাদের বই পড়ার অনেক বেশি নেশা রয়েছে, শুধুমাত্র তারাই লাইব্রেরির কদর বুঝতে পারবেন।যদি আপনার সঙ্গিনী বই পড়তে ভালোবাসেন, তাহলে তাকে নিয়ে সমৃদ্ধ কোন লাইব্রেরিতে বই পড়তে চলে যান। একটি বই দুজন মিলে এক সাথে পড়তে পারেন। বই নির্বাচনের সময়ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে পারেন।


একসাথে রান্না করা
সঙ্গিনীকে যদি ইমপ্রেস করতে চান তাহলে একসাথে রান্না করতে পারেন। তাহলে সম্পর্কের শুরুটার ভিত্তটাও অনেক মজবুত হবে। আপনি আপনার সঙ্গিনীর সব পছন্দের খাবার গুলো তৈরি করতে পারেন। আবার একসাথে খেতে বসতে পারেন। তাহলে আপনাদের গল্পের রসায়নটাও যে জমবে না, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।


প্রেমিকাকে খুশি করার উপায় এবং মেয়েদের মন জয় করার ২০ টি উপায়

প্রেমিকাকে খুশি করার উপায় এবং মেয়েদের মন জয় করার ২০ টি উপায়

আপনি কোনো এক মেয়েকে ভালবাসেন, আপনি চাচ্ছেন তার মন জয় করে নিতে কিন্তু তা পারছেন ? আজকে আমরা শিখাবো কি করে আপনি সেই মেয়েটির মন জয় করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখি কি সেই মন জয় করার উপায় গুলো


প্রেমিকাকে খুশি করার উপায় এবং মেয়েদের মন জয় করার ২০ টি উপায়

                               ১.আপনি যে মেয়েকেই পছন্দ করেন না কেন কখনোই আপনার মনের কথাগুলো হঠাত করে বলতে যাবেন না। এতে করে মেয়েটির আপনার প্রতি বিরূপ মনোভাব সৃস্টি হবে এবং অবহেলা চলে আসবে।

                              ২.সাধারণত মেয়েদের সবসময় বিপরীত মুখী আকর্ষণ বেশি।তাই আপনি মেয়েটিকে যত বেশি এড়িয়ে চলবেন মেয়েটি তত বেশি আপনার প্রতি আকর্ষণ বোধ করবে।


                               ৩.কখনই মেয়েটির নামে খারাপ মন্তব্য করবেন না , এমনকি বন্ধুদের সাথেও না। যদি কখনো সে জানতে পারে আপনি তার সম্পর্কে দুর্নাম রটাচ্ছেন তাহলে সে কখনই আপনাকে পছন্দ করবেনা।

                               ৪.সবসময় মেয়েটির প্রশংসা করতে শিখুন ,তাতে একদিন না একদিন তার মন গলে যাবে এবং তার মন পেতেও সহজ হবে ।

                               ৫.মেয়েটিকে ছলেবলে কৌশলে বুঝানোর চেষ্টা করুন যে আপনি তাকে পছন্দ করেন এবং তাকে ভালবাসেন। সে কি কি পছন্দ করে এবং কি অপছন্দ সেই দিক গুলো ভালভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন ।

                               ৬.মেয়েটি যে বিষয় গুলো বেশি পছন্দ করে সেইসব কাজ গুলো বারে বারে করার চেষ্টা করুন।এতে করে সে আপনার প্রতি কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে পরবে।

                               ৭. নিজের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল হোন,সবসময় মনে রাখবেন এলোমেলো নোংরা চুল, নোংরা হাতের নখ, দুর্গন্ধযুক্ত পায়ের মোজা, কালি ছাড়া জুতা, শার্ট কিংবা জিন্সে পেন্ট এ দাগ আছে এমন পোশাক পরিধান করবেন না। কারণ বলা যায় না কোন বিষয় গুলো অপছন্দের কারণ হয়ে দাড়ায়।
                               ৮.খুব দামী দামী কাপড় পরে যে তার সামনে যেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে, পোশাকটি অবশ্যই পরিছন্ন ও ফ্যাশনেবল এবং আধুনিক হতে হবে। সেই সাথে লক্ষ রাখবেন , সেই পোশাকে যেন সাবলিল থাক যায় ।যাতে করে মেয়েটির সামনে আপনার ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে।
                               ৯.কিছু ছোট খাটো বিষয় আছে যেগুলো একটু খেয়াল করে চলতে হবে। পরুষদের দায়িত্ব হচ্ছে নারীদেরকে নিরাপত্তা নিষ্চিত করা। তাকে একা পেছনে ফেলে কখনই নিজে এগিয়ে যাবেন না। বেড়াতে যাওয়া অথবা খাবার সময় এমন কিছু বিষয় আছে যেখানে তার পছন্দের প্রতি মুল্য ও সন্মান প্রদর্শন করা এবং তার কথার গুরুত্ব দেয়া। মনে রাখবেন সব নারীরাই গুরুত্ব পেতে ভালোবাসে। তারা সবসময় পুরুষদেরকে নিজের সর্বোত্তম আশ্রয়দাতা ও প্রাপ্তি নিশ্চিত করার সীমান মনে করে।

                               ১০.তার দেওয়া সকল উপহার সানন্দে গ্রহণ করবেন।সবসময় তার রান্নার প্রশংসা করবেন। যদি তার রান্না পছন্দ নাও হয় তাহলে কখনই বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। মনে রাখবেন সে অনেক আন্তরিকতা ও কষ্ট করে শুধু আপনাকে খুশি করার জন্যই এসব করেছে ।

                               ১১. শান্ত স্বভাবের অনেক পুরুষ আছে যারা খুব অল্প কিছুতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় কিন্তু আবার খুব সহজেই কমে যায়। আপনার কাজ হবে, কিছু সময় শান্ত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং শান্তি বজায় রাখা।

                               ১২.আপনাকে একটু সময়ানুবর্তী হতে হবে। সময় করে সব কাজ গুলো করতে হবে।

                               ১৩.আপনি যতটুকু পারেন তার চোখে চোখ রেখে কথা বলার চেষ্টা করুন, তাহলে কিছুক্ষণের জন্য হলেও আপনি তার সমস্ত মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারেন।


                               ১৪. মেয়েরা হ্যাপি নিউ য়িয়ার ,বার্থডে,ভালবাসা দিবস ইত্যাদি দিনে একটু বেশি আবেগ প্রবন থাকে তাই এই দিনগুলিতে যদি একটা গিফট আপনার প্রিয়জনকে দিতে পারেন তাহলে আপনার প্রতি একটু দুর্বল হয়ে পরবে। কিন্তু আবেগ দেখাতে যাবেন না তাহলে ধরা খাবেন ।

                               ১৫. আপনি যে মেয়েটিকে পছন্দ করেন তার সাথে কথা বলার সময় একটু মুচকি হাসি দিন । সাধারণত মেয়েরা ছেলেদের মুচকি হাসি অনেক বেশি পছন্দ করে।

                               ১৭. কখনই মেয়েটির সাথে মিথ্যা কথা বলবেন না । মেয়েরা মিথ্যাবাদী ছেলেদেরকে মোটেও পছন্দ করে না।

                               ১৮.সাধারণত মেয়েরা আত্মবিশ্বাসী ছেলেদেরকে বেশি পছন্দ করে তাই সবসময় নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে তুলুন।

                               ১৯.মেয়েটির মন ভাল রাখার জন্য আপনি বিভিন ধরনের হাসির গল্প ও জোকেস বলতে পারেন।

                               ২০.কখনই তার দূর্বল জায়গা গুলোতে আঘাত করা যাবে না। কারণ তার দুর্বল জায়গা গুলো নিয়ে কথা বললে সে আপনার উপর রেগে যাবে ।এটা মেয়েরা কখনই পছন্দ করে না।

 এই বিষয় গুলো ফলো করলেই সহজেই মেয়েদের মন জয় করতে পারবেন।

জানতে চান অথবা দেখতে চান কে কে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল দেখেছে অথবা ভিজিট করেছে



জানতে চান অথবা  দেখতে চান কে কে আপনার ফেসবুক প্রোফাইল দেখেছে অথবা ভিজিট করেছে

অনেক  লোক আছে যারা আপনার প্রোফাইলে Like Comment করে থাকেন। তারা প্রতিনিয়তই আপনার সাথে থাকে এবং তাদের বন্ধুত্ব অটুট রাখে। কিন্তু কিছু লোক আছে যারা আপনাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে আসে। তারা আপনার প্রোফাইলে ভিসিট করে। তারা দেখতে চায়, আপনি কখন কি পোস্ট করছেন এবং কোন ধরনের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা কিন্তু কখনই আপনার Timeline এ লাইক ও করে না আবার comment ও করে না। তাই আপনার উচিত সে সব লোকদের চিনে রাখা।
তাহলে আজকে আমরা দেখব কি করে সেই সব লোকদের সনাক্ত করতে পারি। চলুন তাহলে কাজে নেমে পরি এবং দেখি কিভাবে কাজটি করা যায়।


১) প্রথমেই আপনি আপনার ফেইসবুক এ লগইন করুন।

২) ধরুন আপনার প্রোফাইল এ আপনি লগইন করেছেন এবং সেই অবস্থায় আপনার কীবোর্ড থেকে Ctrl+U চেপে ধরুন। (Ctrl বাটম চেপে ধরে উ বাটম এ চাপ দিন) চাপ দেওয়ার সাথে সাথে নতুন একটা tab অথবা Window খুলে যাবে। সেই Window তে একটি ক্লিক করে রাখুন।

৩) আপনার কীবোর্ড থেকে Ctrl+F চাপুন ( Ctrl বাটম চেপে ধরে F চাপ দিন) চাপ দেয়ার সাথে সাথে একটি Search Option চলে  আসবে। যেখানে Search Option চলে আসছে সেখানে গিয়ে Type করুন “list”  এবং এন্টার দিন। তাহলে নিচের দিকে দেখতে পাবেন  “list”: এর  নিচে অনেক গুলো সংখ্যা দেওয়া আছে এবং সেগুলো হচ্ছে এক এক জনের id নম্বর।  নীচের দেওয়া ছবিটির দিকে ভালো করে লক্ষ্য করলে বিষয়টি বুঝতে কষ্ট হবে না।

আপনার ফেইসবুক প্রোফাইল কে কে দেখেছে জানতে চান

 এবার যেকোনো একটা কোড নম্বর কপি করুন । Example:  100006461302863 ধরুন  নাম্বারটি কপি করলেন এবং কপি করা নম্বরটি http://facebook.com/
স্লাস চিহ্নটির পর সেই কপি করা Code নম্বরটি পাস্ট করুন এবং এন্টার চাপুন।
Example হিসেবে  http://facebook.com/1000064613..........
এন্টার দেয়ার সাথে সাথে যেকোনো একজনের প্রোফাইল এ ডুকে যাবে। তখন বুঝতে পারবেন এই বেক্তি ই আপনার প্রোফাইল ভিসিট করেছিল। এখন আপনি চাইলে, একে একে কোড গুলো এক  এক  করে  কপি করে চেক করতে পারেন।
সবাই ভালো থাকবে।
আল্লাহ হাফেজ।